ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টোকিওতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
টোকিওতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন টোকিওতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান

যথাযথ মর্যাদায় ৪৭তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। স্বাধীনতা দিবসের সকালে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশের শুরুতেই স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পড়ে শোনানো হয়।

রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তার স্বাগত বক্তব্যে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত ৩০ লাখ শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ০২ লাখ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।

দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে ও প্রধানমন্ত্রীর ‘রূপকল্প- ২০২১’ ও ‘রূপকল্প- ২০৪১’  বাস্তবায়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাপান থেকে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা সরাসরি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত। জাপানে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি  উজ্জ্বল ও বাংলাদেশি পণ্যের বাজার প্রসারে সবাইকে একযোগে কাজ করার জন্য রাবাব ফাতিমা অনুরোধ করেন।
টোকিওতে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আগত অতিথিরা
এরপর রূপকল্প- ২০২১ ও রূপকল্প- ২০৪১ বাস্তবায়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকা শীর্ষক প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার সঞ্চালনায় আলোচনায় জাপানে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা এবং পেশাজীবীরা প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন।

কীভাবে জাপানে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার আরও প্রসারতি করা যায়, বাংলাদেশের উন্নয়ণে প্রবাসীরা কীভাবে আরও অবদান রাখতে পারে এবং শিক্ষা- সংস্কৃতি বিনিময়ের ক্ষেত্রে জাপানের সাথে নিবিড়ভাবে বাংলাদেশের কাজ করার বিভিন্ন আঙ্গিক নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় প্যালেনভুক্ত আলোচকরা দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও সরাসরি উত্তর দেন।

প্রবাসীরা বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার কাজে দূতাবাসের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন।

সবশেষে, দেশাত্ববোধক গান, স্বাধীনতা দিবসের কবিতা ও সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
পিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।