ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দেশে কোনো কোচিং সেন্টার থাকবে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
দেশে কোনো কোচিং সেন্টার থাকবে না সততা সংঘের সমাবেশ- ছবি- সুমন

ঢাকা: বাংলাদেশে সেই দিন আসবে যখন দেশে কোনো কোচিং সেন্টার থাকবে না। শিক্ষকরা গাইড হয়ে ‘গাইড বইয়ের’ ভূমিকা পালন করবেন। আজ শিক্ষকদের কাছে শিক্ষার্থীদের আমানত রাখছি। শিক্ষার্থীদের স্বশিক্ষায় শিক্ষিত করুন। দেশের চলমান অগ্রযাত্রাকে বেগমান রাখতে শিক্ষকদের ভূমিকা ব্যাপক।

সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সততা সংঘের সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শপথ বাক্য পাঠ করান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশে যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মদদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতি নির্মূলে আমাদের যুদ্ধ চলবে। কোনো ব্যক্তি আমাদের কাছে মুখ্য নয়। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত রাখতে হবে। আমাদের সময় শেষ হয়ে আসছে। এ দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে শিক্ষার্থীদের। তোমরাই দেশের নেতৃত্ব দেবে।  

শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জন করার আহ্বান জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, জ্ঞান অর্জন করলেই কেবলমাত্র দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া যাবে। যাদের কোনো জ্ঞান নেই তারাই দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে।

সততার চর্চা করতে হবে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ২১ হাজার সততা সংঘ রয়েছে। এবছর আমরা অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সততা সংঘ গড়ে তুলতে পারিনি। তাই শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ আপনারা সততা সংঘ গড়ে তুলুন। দুর্নীতি প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করুন। একজন শিক্ষক পারেন শিক্ষার্থীদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। তবে শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের প্রকৃত জ্ঞান না দেন তাহলে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন থেকে পিছিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

দুদক কমিশনার ড. নাসিরউদ্দিন বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া দুর্নীতির থাবা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন বা উন্নয়ন করতে হলে এখনি আমাদেরকে দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আবার আমাদের খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষার্থীরা যেন কোচিং নির্ভর না হয়। কেননা কোচিং নির্ভর জ্ঞান সফলতা থেকে দূরে রাখে। আবার এটাও খেয়াল রাখতে হবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন ভর্তি বাণিজ্য না হয়। সার্বিক বিবেচনায় এসডিজি অর্জনে এখনি আমাদেরকে দুর্নীতির কালো থাবা থেকে মুক্তি পেতে হবে।

কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে নৈরাজ্য চলছিলো সেটা বর্তমানে কিছুটা কমেছে। শিক্ষকদের দুর্নীতি না করে শিক্ষাদান করতে হবে। আবার শিক্ষার্থীদেরকেও শিক্ষকদের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আবার এটাও সঠিক দুর্নীতিবাজরা লাভবান হওয়ার আশায় সজ্ঞানে দুর্নীতি করে থাকে। অবৈধ অর্জনই দুর্নীতির দিকে ধাবিত করে। এর ফলে বিভিন্ন নৈরাজ্যসহ দেশ ধ্বংসে দুর্নীতিবাজদের সক্রিয় ভূমিকা থাকে। এজন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।   

সততা সংঘের সমাবেশে ‍আরও বক্তব্য রাখেন, আজিমপুর গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী মুনিহা রহমান, উদয়ন গভ. হাইস্কুলের শিক্ষার্থী দেবাশীষ বিশ্বাস, আজিমপুর গভ. হাইস্কুলের অধ্যক্ষ হাসিবুর রহমান, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য লে. কর্নেল (অব.) আব্দুল খালেক ও দুদক সচিব আবু মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।   

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
এসজে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।