ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ট্যানারির জরিমানা নিয়ে শুনানি ৩০ মার্চ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
ট্যানারির জরিমানা নিয়ে শুনানি ৩০ মার্চ

ঢাকা: রাজধানীর হাজারীবাগে থাকা ট্যানারিগুলোর ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া জরিমানার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হবে ৩০ মার্চ।

একইদিনে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে হাজারীবাগে ট্যানারি চালু রাখায় গত বছর ১৫৪ প্রতিষ্ঠান মালিককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা নির্ধারণ করে আপিল বিভাগের আদেশের রিভিউ চেয়ে করা আবেদনেরও শুনানি হবে।

সোমবার (২৭ মার্চ) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

গত ০২ মার্চ হাজারীবাগে থাকা ট্যানারির ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া জরিমানা দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আবেদন করে।
১৯ মার্চ চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।
 
এ বিষয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, রিভিউ এবং জরিমানা স্থগিতের বিষয়ে একসঙ্গে শুনানি হবে বলে সোমবার আদালত আদেশ দিয়েছেন।
 
গত ২৫ জানুয়ারি ট্যানারির বকেয়া জরিমানার বিষয়ে জানাতে শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে তলব করেন হাইকোর্ট। পরে তিনি আদালতকে জানান, ট্যানারিগুলোর বকেয়া জরিমানা দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি ৮৫ লাখ।
 
দীর্ঘদিন পরও যেসব ট্যানারি হাজারীবাগ থেকে সরিয়ে সাভারে না নেওয়ায় গত বছরের ১৮ জুলাই ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। শিল্প সচিবকে এ অর্থ আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিলো।
 
এরপর অর্থ আদায়ে ‘ব্যর্থতার’ কারণে শিল্প সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে মনজিল মোরসেদ।
 
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট শিল্প সচিবকে তলব করেন।  
 
০২ মার্চ মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালত শিল্প সচিবকেএ ক্ষতিপূরণ আদায় নিশ্চিত করতে বলেছিলেন। প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন যে, কে কিভাবে টাকাগুলো দিচ্ছে। ১০ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন তারা দাখিল করেছেন, যেখানে দেখা যায়, গত বছরের আগস্ট মাসে ১৫০ কোম্পানি ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে মাত্র চারটি ও অক্টোবরে তিনটি কোম্পানি টাকা দিয়েছে। এতে বোঝা যায়, আদালতের নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না।
 
এর আগে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে হাজারীবাগে ট্যানারি চালু রাখায় গত বছর ১৫৪ প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা নির্ধারণ করে দেন আপিল বিভাগ। পরে মালিকরা এ আদেশের রিভিউ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
ইএস/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।