ঢাকা, রবিবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ মে ২০২৪, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৭
খুলনায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৭ উদযাপিত  হয়েছে। রোববার (২৬ মার্চ) ভোরে জেলার গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

সূর্যোদের সঙ্গে সঙ্গে কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এছাড়া সকালে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে জাতীয় পতাকা ও রং বে-রঙের পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হয়।

সকাল ৮টায় খুলনা জিলা স্কুল মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।   জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। পরে সেখানে বিভিন্ন বাহিনী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ, ডিসপে¬¬¬¬¬ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হয়। বেলা ১১টা থেকে নগরীর সিনেমা হলসমূহে ও দৌলতপুর শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ও দুর্নীতি বিরোধী তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান এবং পুলিশ সুপার মো. নিজামুল হক মোল্যা।

খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- মুজিব বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার শেখ ইউনুছ আলী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা  ইউনিট কমান্ডার সরদার মাহবুবার রহমান, সাবেক জেলা কমান্ডার নূর ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, স ম রেজওয়ান আলী এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির।

এ সময় সংবর্ধিত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
 
হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশুকেন্দ্র সমূহে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদযোহর কালেক্টর মসজিদসহ নগরীর মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডবি¬¬¬উটিএ) দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত স্থানীয় নৌ-বাহিনীর জাহাজ খুলনার রকেটঘাটে জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শহীদ হাদিস পার্কে অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৭
এমআরএম/আরআইএস/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।