ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বোমা বিস্ফোরণে আহত যুবকের হাসপাতালে মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
বোমা বিস্ফোরণে আহত যুবকের হাসপাতালে মৃত্যু বোমা বিস্ফোরণে আহত যুবকের হাসপাতালে মৃত্যু। ছবি:আবু বকর- বাংলানিউজ

সিলেট: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানস্থলের বাইরে বোমা বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে এক যুবক মারা গেছেন।

একজন স্থানীয় সাংবাদিকসহ আহত আরও ২৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তাদের মধ্যেও ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ওই এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালেই বাইরের রাস্তায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। আহত ৩০ জনকে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আতিক রহমান অপু (২৬) নামক ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।    

শনিবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে শিববাড়ির ‘আতিয়া মহল’ নামক বাড়ির জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ও পুলিশের সোয়াট সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী।

সন্ধ্যায় আতিয়া মহলের অদূরে অন্য একটি বাড়িতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তারা। এরপর সাংবাদিকসহ অন্যরা বের হয়ে সামনে এগোনোর সময় জঙ্গিদের বোমা বিস্ফোরণের খবর আসে।    

আতিয়া মহল থেকে ৩০০ গজ উত্তরে এ বোমার বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আহতদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় একটি দৈনিকের সাংবাদিক আজমল হোসেন (৩০), একজন পুলিশ সদস্য ও বেশ কয়েকজন পথচারী।

এদিকে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ও পুলিশের সোয়াট সদস্যরা এখনো আতিয়া মহলের ভেতর থেকে বের হয়ে আসেননি। শনিবার সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে লে. কর্নেল ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে ‘অপারেশন টোয়ালাইট’ নামের অভিযানটি শুরু হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে ৭৮ জন বেসামরিক ব্যক্তিকে উদ্ধারের খবর জানিয়ে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান জানান, তারা ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
 
আইএসপিআরের পরিচালক লে. কর্নেল রাশিদুল হাসানও এর আগে বিকেলে বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৯টা ৫০ মিনিট থেকে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে আতিয়া মহলের ৫তলা ও ৪তলা দু’টি ভবনের সবক’টি ফ্ল্যাটে জিম্মি থাকা ২৮টি পরিবারের ৭৮ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে যৌথ বাহিনী।

এর আগে শুক্রবার (২৪ মার্চ) ভোর থেকে উস্তার মিয়ার বাড়ি আতিয়া মহল ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি ছুড়লে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায় পুলিশ।

এতে জঙ্গিরা সাড়া না দেওয়ায় সোয়াট টিমের সঙ্গে অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট। শুক্রবার সারারাত ধরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বাড়িটি ও আশপাশের এলাকা ঘিরে রেখে অভিযানের প্রস্তুতি নেন।

পুলিশের ধারণা, ‘মর্জিনা’ নামে কোড ব্যবহার করে ওই বাড়িটিতে অবস্থান নিয়েছেন জঙ্গিরা। ভেতরে নব্য জেএমবি নেতা মুছা থাকতে পারেন বলেও ধারণা করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
এনইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।