ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শহীদ মিনারে মিজারুল কায়েসকে শেষ শ্রদ্ধা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭
শহীদ মিনারে মিজারুল কায়েসকে শেষ শ্রদ্ধা মিজারুল কায়েসের মরদেহে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতীয় শহীদ মিনারে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েসের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সোমবার (মার্চ ২০) সকাল সোয়া দশটায় শুরু হওয়া শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে।

জাতীয় শহীদ মিনারে মিজারুল কায়েসের মরদেহ আনা হয় সকাল সোয়া ১০টায়। সেখানে একটি কালো ব্যানারের সামনে রাখা হয় মিজারুল কায়েসের মরদেহ।

শ্রদ্ধা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।

‘শিল্পভুবনের প্রিয়জন মেধাবী কূটনীতিক মিজারুল কায়েসের প্রতি জাতির শ্রদ্ধাঞ্জলি’ এমনটাই লেখা ছিলো সে ব্যানারে। মিজারুল কায়েসের মরদেহ সেখানে আনার আগেই জড়ো হন সাহিত্য-সাংস্কৃতিক জগতের মানুষেরা। আসেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারাও।

সামরিক পোশাকধারী তিন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানাতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

এছাড়া শ্রদ্ধা জানানো হয়, ৮২ বিসিএস ফোরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পাকুন্দিয়া সমিতি, ঢাকা কলেজ, বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্র, চারুকলা অনুষদসহ আরো অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।

মিজারুল কায়েসের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মিজারুল কায়েসের রেখে যাওয়া আদর্শ মেনে চলতে হবে। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি যে সাহস দেখিয়েছেন তা অনুকরণীয়।

সাবেক রাষ্ট্রদূত আনারুল আলম বলেন, তার মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হবে  এটা ভাবিনি। এমন আর্দশবান মানুষ আমি কম দেখেছি।

বিসিএস ৮২ ফোরামের সভাপতি সাবেক সচিব মিজানুর রহমান বলেন, তিনি ছিলেন ফোরামের প্রাণ, তার মেধা ছিল অতুলনীয়। তিনি স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু,পতাকা, মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কোন দিন আপস করেননি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিভিন্ন সভায়  তার মন্তব্য শুনতে চাইতেন।

কবি মোহন রায়হান বলেন, বাংলা ভাষা, শিল্প সাহিত্য গভীরভাবে ভালবাসতেন মিজারুল কায়েস। তীক্ষ্ণ ছিল তার রসবোধ।

সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান বলেন, অত্যন্ত মেধাবী একজন সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা ছিলেন মিজারুল।   তার সঙ্গে থাকা মানেই কিছু জ্ঞান লাভ করা।

শিল্পী মনিরুল ইসলাম বলেন, মিজারুলের সকল প্রচেষ্টাই ছিল, শিল্প,সাহিত্য, চলচ্চিত্র নিয়ে। তার কথাবার্তা, উল্লাস ছিল সবার চেয়ে আলাদা।

২৪ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মরণ সভা ও ২৩ মার্চ বাদ মাগরিব শাহীন অডিটোরিয়াম কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে মিজারুল কায়েসের।

বাংলাদেশ সময় ১০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৭/আপডেট ১১৪৫
কেজেড/আরআই/এমএমকে

**‘এত মেধাবী মানুষ কম দেখেছি’

**পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিজারুল কায়েসের জানাজা সম্পন্ন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।