ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নতুন ভোটাররা পাবেন পুরনো ‘স্মার্টকার্ড’

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৭
নতুন ভোটাররা পাবেন পুরনো ‘স্মার্টকার্ড’

ঢাকা: ২০১৪ সালের এপ্রিলের পর যারা ভোটার হয়েছেন, তাদের স্মার্টকার্ডের পরিবর্তে লেমিনেটিং করা কাগজের পুরনো জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

২০১৫ সালে স্মার্টকার্ড তৈরি করে দিতে ফ্রান্সের একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে নির্বাচন কমিশন। যেখানে ৯ কোটি ভোটারকে কার্ড দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল।

আর ২০১৪ সালের এপ্রিলের পরে যারা ভোটার হয়েছেন, তারা ওই ৯ কোটি ভোটারের বাইরে। তাই সহসাই তারা স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন না।
 
সূত্রগুলো জানিয়েছে, ২০১৪ সালে ৪৮ লাখ, ২০১৫ সালে ২৪ লাখ ও ২০১৬ সালে ১৩ লাখ মোট ৮৫ লাখ নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তবে দেশে বর্তমান ভোটার রয়েছে ১০ কোটি ১৭ লাখেরও বেশি। অর্থাৎ নতুন যারা তালিকায় আছেন তাদের সবাই এবং পুরাতনরাও অনেকে স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন না। তাদের জন্য আগে সরবরাহ করা লেমিনেটিং কাগজের এনআইডিই দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
 
ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, স্মার্টকার্ড প্রস্তুত ও বিতরণের চলমান কার্যক্রমটি দ্রুত এগিয়ে নেওয়া যায়নি। তার ওপর চুক্তিতে আছে ৯ কোটি ভোটারের জন্য হবে স্মার্টকার্ড। তাই কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন বিগত কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নতুনদের সরকারি তহবিল থেকে কার্ড দেওয়া হবে। তাই বিগত কমিশন ৮৫ লাখ নতুন ভোটারের সবাইকে এবং প্রায় ৩২ লাখ পুরাতন ভোটারকে কোনো কার্ডই দেয়নি। এক্ষেত্রে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখের মত ভোটার কোনো কার্ডই পাননি।
স্মার্টকার্ড/ফাইল ছবিবর্তমানে এসব নাগরিকরা ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সেবা নেওয়ার সময় নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন বলে কমিশনেও অভিযোগ আসছে। তাই কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন ওই সব ভোটারদের পুরনো কার্ডই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন করে তহবিল গঠন হলেই কেবল তাদের কার্ড দেওয়া হবে।
 
এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের এপ্রিলের পর যারা ভোটার হয়েছেন, তারা তো কোনো কার্ডই পাননি। তাই তোদের লেমিলেটিং করা কার্ডই দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের কার্ড প্রস্তুতের জন্য সরকারি তহবিল থেকেই ব্যবস্থা করা হবে। তবে এজন্য একটু সময় লাগবে।
 
সচিব জানান, আগামী ১৩ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনেও স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। আর খুব শিগগিরই রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট মহানগরের নাগরিকরাও উন্নতমানের এ কার্ড পারেন। এক্ষেত্রে ঢাকায় স্মার্টকার্ড বিতরণের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও কেনা হচ্ছে-আশাকরছি কোনো সমস্যা হবে না। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য স্থানের নাগরিকরাও এ কার্ড পাবেন।
 
বয়স্কদের জন্য পৃথক কাউন্টার:
ইসি সচিব আব্দুল্লাহ বলেন, ঢাকার অভিজ্ঞতা নেবতো অবশ্যই। একইসঙ্গে শিগগিরই গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গেও একটি ওয়ার্কশপ করবো। যেখান থেকে আমরা সমস্যাগুলো ভালো করে জানতে পারবো। তাদের পরামর্শও নেওয়া হবে।
 
গত ৫ মার্চ বাংলানিউজে ‘স্মার্টকার্ডের জন্য বয়স্কদের আলাদা বুথ-লাইন নেই, দুর্ভোগ চরমে’ এ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে সচিব বলেন, স্মার্টকার্ড বিতরণ কেন্দ্রে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও শারীরিকভাবে অসামর্থ্যদের জন্য আলাদা কাউন্টার রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকাতেও এখন থেকে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হবে। এ বিষয়টি দ্রুত কার্যকর করা হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৬
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।