বুধবার (১ মার্চ) থেকে এই এলাকায় ইলিশ ধরা, মজুদ, বিক্রি ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে, বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে জেলেদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ চাল বিতরণের কথা থাকলেও এখনো তা শুরু হয়নি।
ইলিশা ফেরিঘাট এলাকার জেলে মো. মিলন ও আবদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এটা ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু আমাদের জন্য বরাদ্দ চাল সঠিক সময়ে বিতরণ না হলে পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে।
সজিব আলী বলেন, ২০ বছর ধরে মাছ শিকার করছি। কিন্তু কখনো সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত চাল পাইনি। তাই সরকারের কাছে দাবি বরাদ্দকৃত চাল এবার যেন সঠিকভাবে বণ্টন করা হয়।
জেলেদের অভিযোগ, সরকারের পক্ষ থেকে যখনি চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় তখনও সেই চাল তাদের ভাগ্যে জোটেনা, তাই সঠিকভাবে চাল বণ্টনের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর ৮০ হাজার জেলে ছিল। তখন বরাদ্দ এসেছিলো মাত্র ৫২ হাজার জেলের। তাই সবাইকে চাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বছর জেলের সংখ্যা বেড়েছে তাই সবার জন্য চাল বিতরণের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
অপরদিকে, জেলের ৮০টি মৎস্যঘাটে এক হাজারের বেশি মাছের আড়ৎ এবং নিবন্ধনের বাইরে আরও লক্ষাধিক জেলে রয়েছে। দ্রুত জেলেদের পুনর্বাসনের চাল বিতরণের দাবি তাদের।
এদিকে জেলা মৎস্য অফিস জানায়, ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এবং ইলিশা থেকে মনপুরার চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস ইলিশ ছাড়াও সব প্রজাতির মাছ ধরা নিষেধ। এই দুই মাস ইলিশসহ অন্য প্রজাতির মাছ ডিম ও প্রজনন কার্যক্রম সম্পন্ন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এনটি/আরএ