ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারি উদ্যোগে শ্রমিকদের ১২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১২ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০১৭
সরকারি উদ্যোগে শ্রমিকদের ১২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায়

ঢাকা: নির্যাতিত-নিপীড়িত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে গত বছর ১২ লাখ ২৫ হাজার ৩৮৭ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিয়েছে একটি সরকারি সংস্থা। আর চাকরিতে পুর্নবহাল হয়েছেন ২৮ জন শ্রমিক। পাশাপাশি বিনামূল্যে আইনি সেবা পেয়েছেন এক হাজার ২৫৬ জন। 
 
 

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রামের শ্রমিক সেল থেকে এসব সহায়তা পেয়েছেন শ্রমিকরা।  
 
সংস্থার ২০১৬ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকা ও চট্টগ্রামে শ্রমিক আইন সহায়তা সেলের মাধ্যমে ১৩১ জন নারী শ্রমিক ও ৩১৩ জন পুরুষ শ্রমিককে মৌখিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

নোটিশের মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তি হয়েছে ১১৯ জন শ্রমিকের। হটলাইনের মাধ্যমে সেবা নিয়েছেন ৪২৫ জন শ্রমিক। শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে ২৯টি, নিষ্পত্তি হয়েছে ১৬টির। চাকরি ফিরে পেয়েছেন ২৮ জন শ্রমিক।  

২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর শ্রমিকদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়া শুরু করে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা।
 
বিনামূল্যে আইনি সহায়তা সেবা দেওয়া এ সংস্থার সহকারী পরিচালক (সিনিয়র সহকারী জজ) কাজী ইয়াসিন হাবিব বাংলানিউজকে  বলেন, ২০১৩ সালে ঢাকার শ্রম ভবনে ও পরে চট্টগ্রামে শ্রমিক আইনি সহায়তা সেল চালু করা হয়। এ সেলের মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে আইনি সেবা দেওয়া হচ্ছে।  

‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ অনুযায়ী, আর্থিকভাবে অসচ্ছ্বল, সহায় সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার পেতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীকে আইনগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কোনো আদালতে দায়েরের যোগ্য, দায়ের হয়েছে বা বিচার চলছে- এমন মামলায় আইনি পরামর্শ ও সহায়তা, আইনজীবীর ফিস ও মধ্যস্থতাকারী বা নিযুক্ত সালিশকারীকে সম্মানী এবং মামলার প্রাসঙ্গিক খরচসহ নানাবিধ সহায়তা দিচ্ছে সংস্থাটি।

অসচ্ছ্বল বা আর্থিকভাবে অসচ্ছ্বল ব্যক্তি যার বার্ষিক গড় আয় সুপ্রিম কোর্টে আইনগত সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা এবং অন্যান্য আদালতের ক্ষেত্রে এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয়, কর্মক্ষম নন, আংশিক কর্মক্ষম, কর্মহীন বা বার্ষিক দেড় লাখ টাকার ঊর্ধ্বে আয় করতে অক্ষম এমন মুক্তিযোদ্ধা, যেকোনো শ্রমিক যার বার্ষিক গড় আয় এক লাখ টাকার ঊর্ধ্বে নয় এমন ব্যক্তিরা- এসব আইনি সহায়তা পাচ্ছেন।  

সহায়তা পাচ্ছেন যেকোনো শিশু, মানবপাচারের শিকার যেকোনো ব্যক্তি, শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু, নিরাশ্রয় ব্যক্তি বা ভবঘুরে, যেকোনো উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের লোক, পারিবারিক সহিংসতার শিকার অথবা সহিংসতার ঝুঁকিতে আছেন- এ রকম যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরাও।  

বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন এ রকম কোনো ব্যক্তি, ভিজিডি কার্ডধারী দুস্থ মা, অসচ্ছ্বল বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও দুস্থ নারী, দুর্বৃত্তের হাতে অ্যাসিডদগ্ধ নারী বা শিশু, আদর্শ গ্রামে ঘর বা জমি বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি, যেকোনো প্রতিবন্ধী, আর্থিক অসচ্ছ্বলতার কারণে আদালতে অধিকার প্রতিষ্ঠা বা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে অসমর্থ ব্যক্তি, বিনা বিচারে আটক এমন ব্যক্তি যিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে আর্থিকভাবে অসচ্ছ্বল, আদালতে আর্থিকভাবে অসহায় বা অসচ্ছ্বল বলে বিবেচিত ব্যক্তি এবং জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আর্থিকভাবে অসহায় বা অসচ্ছ্বল বলে বিবেচিত ব্যক্তিরা আইনি সহায়তা পাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।