সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেলা উদযাপন কমিটি এ মেলার আয়োজন করে। উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের উনশিয়া গ্রামে কবির পৈত্রিক ভিটায় জারিগান, সামাজিক যাত্রাপালাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ এ মেলা শুরু হবে।
মেলা উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কবির বাড়িটি সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করছে। অপরদিকে, এ মেলাকে কেন্দ্র করে নবরূপে সেজেছে কবির বাড়ি ও এর আশপাশের এলাকা।
কোটালীপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, মেলাকে ঘিরে উপজেলাব্যাপী বইছে উৎসবের আমেজ। আমরা উপজেলা পরিষদ থেকে এ মেলায় সার্বিক সহযোগিতা করে আসছি। আগামীতে এ মেলা যাতে অব্যাহত থাকে সেজন্য কাজ করে যাবো।
জেলা পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম হাজরা মন্নু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য আন্দোলন করে আসছি। আমাদের আন্দোলন কিছুটা হলেও স্বার্থক হয়েছে। এ বছর আনন্দমুখর পরিবেশে মেলাটি উদযাপন করা হবে।
কবি সুকান্ত স্মৃতি সংসদের সভাপতি শেখ আয়নাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমি চাইবো সরকার কবির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিশেষ করে কবির পৈত্রিক ভিটায় একটি পর্যটন কেন্দ্র ও একটি আধুনিক লাইব্রেরি গড়ে তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে কবিকে তুলে ধরবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা পরিষদ এবং স্থানীয় সুধীজনদের সহযোগিতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেলা উদযাপন কমিটি এ মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা মেলার সব আয়োজন শেষ করেছি। আমি চাইবো প্রশাসন ও এলাকাবাসী যেন আগামীতে কবির স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এ ধরনের মেলার আয়োজন করে।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আদর্শকে বর্তমান যুব সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
উল্লেখ্য, ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কবি সুকান্ত ভট্টচার্য্য কলকাতার কালীঘাটের মহিমা হালদার স্ট্রিটে মামা বাড়িতে জন্ম নেন। তার বাবার নাম নিবারন ভট্টচার্য্য। মাতা সুনীতি দেবী। ১৯৪৭ সালের ১৩ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল, তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ। কবির প্রতিটি কবিতায় অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
এনটি/আরএ
