ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘ভুয়া পুলিশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
‘ভুয়া পুলিশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে’

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে ছদ্মবেশে পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের ভাবর্মূতি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে আব্দুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিকেলে ৫টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা তাদের অপরাধের ধরন পরিবর্তন করে থাকে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে নিজেদের ছদ্মবেশে রেখে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণের মতো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার ঘটনাও সম্প্রতি ঘটছে। এতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের ভাবর্মূতি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতোমধ্যে এ ধরনের কিছু সংখ্যক প্রতারক গোষ্ঠীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, পুলিশের জন্য নির্ধারিত পোশাক ও হ্যান্ডকাপ খোলাবাজারে বিক্রির বিষয়টি ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের তাদের ব্যবহৃত পোশাকের সাথে নিজস্ব আইডি কার্ড ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 
বেগম হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিদ্যমান নেই। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। এই সরকার কোনোভাবেই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন, অনুমোদন ও অনুসমর্থন অথবা উৎসাহিত করে না। আইনসংগত দায়িত্ব কর্তব্য পালনের ক্ষেত্রে কোনরূপ ব্যত্যয় দেখা গেলে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি নেয়।
 
নাজমুল হক প্রধানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের এ পর্যন্ত দেশে ৩ হাজার ৫৬১ জন পুলিশ সদস্যকে বিদেশে জাতিসংঘ মিশনে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ১ হাজার ১৯ জন সদস্য কর্মরত রয়েছেন।
 
সাধারণ মানুষ থানায় জিডি করতে গেলে কর্মরত কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টাকা আদায় করে। অনেক ক্ষেত্রে ভিকটিমকে নাজেহাল কর‍া হয়- বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরীর এমন প্রশ্নের সত্যতা অস্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ থানায় জিডি করতে গেলে কর্মরত কর্মকর্তা বিভিন্ন অজুহাতে দেখিয়ে টাকা আদায় করে, ইহা সত্য নয়। এমনকি ভিকটিমকেও নাজেহাল করা হয় না।
 
এরকম কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে অনুসন্ধান সাপেক্ষে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিগত ৫ বছরে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে ৬১ হাজার ৯১০ জনকে লঘুদণ্ড, ৩ হাজার ৬০০ জনকে গুরুদণ্ড এবং ৫০৪ জনকে চাকরিচ্যুত/বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বেগম রিফাত আমিনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে মাদকাসক্তের সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে সঠিক পরিসংখ্যান নির্ণয়ের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাদকের ভয়াবহতা রোধকল্পে ইতোমধ্যে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।

**আনসার সদস্যদের চাকরি ছয় বছরেই স্থায়ী
** বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরাতে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রে ল-ফার্ম নিয়োগ
** বাংলাদেশ স্বর্ণ চোরাচালানের রুট হওয়ার শঙ্কা

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।