ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বগুড়ার শেরপুরে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিল-সমাবেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
বগুড়ার শেরপুরে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিল-সমাবেশ বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের মিছিল

বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন তালিকা থেকে বাদ পড়া ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার আবু আলমকে লাঞ্ছিত করা হয়। উপজেলা পরিষদ চত্বরে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হলে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,  উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানকে সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম সরোয়ার জাহানকে  সদস্য সচিব করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
 
কমিটির সদস্যরা হলেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমাণ্ডার ওবায়দুর রহমান, নরোত্তম, আব্দুস সোবহান, আব্দুল বারী ও মোফাজ্জল হোসেন।  

চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়।
 
নির্ধারিত নিয়মে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তভূক্ত হতে উপজেলায় মোট ৩২৬ জন আবেদন করেন। এসব আবেদন গত ১১ ও ২০ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাই করা হয়। পরবর্তীতে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে যাচাই-বাছাই কমিটি।
 
মঙ্গলবার সকাল দশটার দিকে  তালিকাটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে টানানো হয়। এতে ৭১ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে তালিকা থেকে বাদ পড়া ভাতাপ্রাপ্ত ও অন্য মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা পরিষদ চত্বরে একত্রিত হয়ে ঘোষিত তালিকা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
 
এ সময় ‘ষড়যন্ত্রকারী’ আখ্যায়িত করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমাণ্ডার আবু আলমকে লাঞ্ছিত করা হয়।
 
খবর পেয়ে আবু আলমের সমর্থকরা এলে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
 
তবে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধারা আবারো বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। উপজেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
 
পরে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সভায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক খান, আব্দুর রউফ, কাজী আব্দুল কাদের, মকবুল হোসেন, আব্দুস সাত্তার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
 
বক্তারা যাছাই-বাছাই কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। লাল মুক্তিবার্তা ও ভারতীয় তালিকাতেও নাম রয়েছে। অথচ তালিকায় আমাদের নাম নেই। যা ভাবতেই পারছি না’।
 
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা আরো বলেন, ‘যাচাই-বাছাই  সঠিকভাবে করা হয়নি। কমিটির সদস্যরা বাণিজ্য করেছেন। অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে তালিকা করা হয়েছে’।
 
অবিলম্বে ঘোষিত এ তালিকা বাতিলের দাবি জানান বক্তারা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

 
যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম সরোয়ার জাহান বাংলানিউজকে জানান, তালিকা থেকে বাদ পড়া মুক্তিযোদ্ধাদের আপিলের সুযোগ রয়েছে। এর বাইরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭
এমবিএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।