ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বারের ক্যান্টিনে মিনি আহার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
বারের ক্যান্টিনে মিনি আহার বারের কেন্টিনের সুস্বাদু পিয়াজু, ছবি : বাংলানিউজ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): কাজের ব্যস্ততায় জানা যায় না সময়ের সঠিক হিসেব। মামলা-মোকদ্দমার জরুরি কাজে কোর্টকক্ষে কাটে সময়ের নানা প্রহর। তবে ‘খিদে’ তার নিজস্ব নিয়মে জানান দিয়ে ওঠে তার প্রয়োজনের কথা। অর্থাৎ এখন খাবার লাগবেই!  

হঠাৎ খিদের জ্বালা মেটাতে পথে-প্রান্তরে বসে নানান ধরনের খাবারের ছোট-বড় দোকান। এমনই একটি অতি সাধারণ ছোট্ট দোকানের নাম মৌলভীবাজার বারের ক্যান্টিন।

মামলা-মোকাদ্দমার কাজে আসা মানুষগুলোর খিদে মেটায় এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি।

চরচর করে শব্দ উঠছিল কড়াই থেকে! তেলের উপর ভাজা হতে থাকা পেঁয়াজুগুলোর এ যেন তাজা স্বাদ এবং তার বুধবুধ ধ্বনি! অনায়াসে তেল পেঁয়াজুগুলোকে পাকিয়ে চলেছে। ...

ভিড় করে থাকা লোকজনদের একজন তাড়াতাড়ি খাবার সরবরাহের আহ্বান জানালেন। তার প্রতি উত্তরে ক্যান্টিনের মালিক তাকে একটু অপেক্ষা করতে বললেন। খেতে আসা লোকটি আর কথা বাড়ালো না।
 বারের কেন্টিনের সুস্বাদু পিয়াজু, ছবি : বাংলানিউজ

ছোট দোকান অথচ ভিড় ছোট নয়। একজনের পর একজন আসছেই। কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মিটিয়ে নিচ্ছেন খিদের যন্ত্রণা।     

মৌলভীবাজার বারের ক্যান্টিনের কর্ণধার ইব্রাহিম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগে এখানে আমার হোটেল ছিল। এখন হোটেলটি বন্ধ। তবে এই ক্যান্টিন রয়েছে। এখানে পেঁয়াজু, চানা, বেগুনি, সিদ্ধডিম, আখনি এবং চা পাওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, প্রতি পিস পেঁয়াজু ২/- টাকা, প্রতি পিস বেগুনি ২/- টাকা, এক প্লেট চানা এবং আখনি ২০/-টাকা করে এবং প্রতি কাপ চা ৫/- টাকা।
 বারের কেন্টিনের সুস্বাদু পিয়াজু, ছবি : বাংলানিউজ

ইব্রাহিম আক্ষেপ করে জানালেন, ডিসি অফিস থেকে কোর্ট ও পাসপোর্ট অফিস অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার পর লোকজন অর্ধেকে চলে এসেছে। আগের মতো লাভ হয় না এখন।  

‘দৈনিক কত আয়’ -এ প্রশ্নের উত্তরে ইব্রাহিম বলেন, সব খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক চার/পাঁচ শত টাকা থাকে। তা দিয়ে কোনো মতে চলে যায় স্ত্রী ও তিন মেয়ের সংসার।

অ্যাডভোকেট জলি দাস বাংলানিউজকে বলেন, বারের ক্যান্টিনের পেঁয়াজু অনেক সুস্বাদু। মাঝে মাঝে আমরা এনে খাই। আপনিও খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে।

ওই দোকানের এক কাস্টমার খতিব বখত বলেন, মামলার কাজে কোর্টে আসলেই আমি এখানে পেঁয়াজু খেতে আসি। বেশ ভালো লাগে।  

বাংলাদেশ সময়:০৯৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
বিবিবি/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।