ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শুল্কফাঁকির অভিযোগে আরো একটি গাড়ি ফেরত দিলো বিশ্বব্যাংক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
শুল্কফাঁকির অভিযোগে আরো একটি গাড়ি ফেরত দিলো বিশ্বব্যাংক শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের জব্দ করা গাড়ি/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে আরও একজন সাবেক কর্মকর্তার ব্যবহৃত গাড়ি শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করেছে বিশ্বব্যাংক।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মঈনুল খান।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, রোববার সকালে কাগজপত্র যাচাই শেষে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর গাড়িটি জব্দ করেছে।

গাড়িটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টায় বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিস থেকে একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দার সদর দফতরে পাঠানো হয়। সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়া ফ্যানের (Qimia Fan) চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এতে স্বেচ্ছায় গাড়ি সমর্পণের কথা বলা হয়। শুল্ক গোয়েন্দার চলমান তদন্তে সার্বিক সহযোগিতার অঙ্গীকারের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য অনুসারে গাড়িটির ব্যবহারকারী ছিলেন নিহাল ফারনান্দো। তিনি ২০০৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র রুরাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি ব্যক্তিগত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনেন।

নিহাল ফারনান্দোর (কাস্টমস পাশবুক নম্বর ৫০/০৮) ব্যবহৃত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন: AJB-066, চেসিস: ZZT240-0119638, ইঞ্জিন: 1ZZ-2605975, CC- 1800, মডেল: Toyota Allion, তৈরি সাল: 2006।

নিহাল ফারনান্দো ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যাসাইনমেন্ট শেষে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু আইনানুসারে তিনি বাংলাদেশ ত্যাগের আগে ব্যবহৃত কাস্টমস পাশবুক ও গাড়িটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে যাননি। এতে শুল্ক আইন ভঙ্গ হয়েছে এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। শুল্ক গোয়েন্দা এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করলে বিশ্বব্যাংক এর আগে দু’টি গাড়ি হস্তান্তর করে। এ গাড়িটি নিয়ে মোট ৩টি গাড়ি জব্দ হলো।

বাংলাদেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও বিদেশি সংস্থায় কর্মরত প্রিভিলেজড পার্সনদের শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার সংক্রান্ত চলমান তদন্তের প্রয়োজনে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দফতর থেকে বিশ্বব্যাংকের কাছে তথ্য চাওয়া হয়। এ চিঠির প্রেক্ষিতে ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ দফতর থেকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল শুল্ক গোয়েন্দা দফতরে উপস্থিত হয়ে তাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এতে শুল্ক গোয়েন্দার তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।

আরো বেশ কিছু গাড়িতে গরমিল রয়েছে বলেও প্রাথমিক অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে। এগুলোর ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় পর্যায়ক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
এসজে/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।