ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শজিমেকে চিকিৎসক-রোগীর স্বজনের সৃষ্ট ঘটনার তদন্ত শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
শজিমেকে চিকিৎসক-রোগীর স্বজনের সৃষ্ট ঘটনার তদন্ত শুরু

বগুড়া: বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর স্বজনের সৃষ্ট ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি শজিমেকে আসেন।
 
তদন্ত দলের অপর দুই সদস্য হলেন -বিএমডিসি’র প্রো ভিসি প্রফেসর ডা. শরফুদ্দীন আহমেদ ও স্বাস্থ্য অধিদপতরের পরিচালক (চিকিৎসা) অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুর রশিদ।


 
ঢাকা থেকে সড়ক পথে বগুড়ায় শজিমেকে আসার আগে সিরাজগঞ্জে নেমে তদন্ত কমিটির সদস্যরা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন। ওইদিন ও পরবর্তী সময়ের ঘটনা সম্পর্কে তাদের বক্তব্য শোনেন।
 
রোগী আলাউদ্দিনের ছেলে আব্দুর রউফ ও তার দুই বোন কিভাবে লাঞ্ছনার শিকার হন তা বিস্তারিতভাবে তারা তদন্ত কমিটির সামনে তুলে ধরেন। এছাড়াও ঘটনার সময় উপস্থিত রোগীর নিকট আত্মীয় এমন দুইজন ব্যক্তির স্বাক্ষ্য নেন তদন্ত কমিটি।
 
সেখান থেকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) আসেন। প্রথমেই তারা কয়েকজন সাংবাদিকদের কাছ থেকে শোনেন নেন সেদিনের ঘটনার বর্ণনা।  
 
এরপর পর্যায়ক্রমে হাসপাতালে পরিচালক, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, সিনিয়র চিকিৎসক, মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ, বিএমএ’র নেতারা, পুলিশ কর্মকর্তা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাছ থেকে পুরো ঘটনা শোনেন এবং স্বাক্ষ্য নেন। পাশাপাশি ঘটনাস্থল ও আশেপাশের রোগীদের কাছ থেকেও বিস্তারিত শোনেন ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। বিকেল নাগাদ চলে এ তদন্ত কার্যক্রম।  
 
তদন্ত কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য আলাদা আলাদভাবে শুনেছি। তাদের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেছি। ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেনেছি।
 
তদন্তে যা পেয়েছি তাই দ্রুত সময়ে সংশ্লিষ্ট দপতরে প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
 
তদন্ত কাজে সহায়তা করেন শজিমেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মাসুদ আহসান, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. একে এম আহসান হাবিব, উপাধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল, বিএমএ’র জেলা শাখার সভাপতি ডা. মোস্তফা আলম নান্নু।
 
এর আগে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শজিমেকে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা রোগী আলাউদ্দিনের ছেলে ও ২ মেয়ে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কিছু বিক্ষুদ্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে প্রহৃত হন।
 
অপরদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসক রোগীর স্বজনের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। সবমিলিয়ে এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
এমবিএইচ/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।