ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিলেটের টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক সই

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
সিলেটের টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক সই সিলেট সার্কিট হাউসে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠান/ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সিলেট শহরের টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেট সার্কিট হাউসে এ স্মারক সই হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহ মো. আমিনুল হক, সিলেট সিটি করপোরেশনের সিইও এনামুল হাবিব প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক আলী আকবর ও চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার শ্রী সোমনাথ হালদার।

হাই কমিশনার শ্রিংলা বলেন, আজ আমি সিলেট শহরের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই করতে পেরে খুবই আনন্দিত।

এ স্মারকটির সই ২০১৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দু’দেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের পরবর্তী অনুক্রমণ।

সিলেটের পরিকল্পনার আওতায় ভারত সরকার একটি পাঁচতলা কিন্ডার গার্টেন ও উচ্চ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ; একটি ছয়তলা পরিচ্ছন্নতাকর্মী কলোনি ভবন নির্মাণ ও ধোপা দিঘিরপাড় এলাকার কিছু উন্নয়নমূলক কাজে অর্থনৈতিক সহায়তা দেবে, যার মোট ব্যয় ২৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। জানান তিনি।

সিলেট সার্কিট হাউসে বাংলাদেশ-ভারত সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠান/ছবি: সংগৃহীততিনি বলেন, সিলেট একটি প্রাচীন ও ঐতিহাসিকভাবে রোমাঞ্চকর নগরী। এটি ভারতের তদানীন্তন আসাম প্রদেশের অংশ ছিল। মুক্তিযুদ্ধে এর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তি এ শহরে জন্মেছেন, এদের মধ্যে রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা, মন্ত্রী ও কূটনীতিক। এটি বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডেওর একটি কেন্দ্রস্থল। আমরা এ নগরীর সঙ্গে বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে, সম্পৃক্ত হতে পেরে গর্ববোধ করছি।

শ্রিংলা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২ অক্টবর ২০১৪ থেকে স্বচ্ছ ভারত মিশন হাতে নিয়েছেন। এটি ভারতবাসীর মাঝে বিশেষ করে গ্রাম ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের তাদের চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে একটি সাধারণ গণসচেতনতার সৃষ্টি করেছে। এ মিশনের আওতায় ভারত সরকার বিভিন্ন রকম স্কিম চালু করেছে। এর বিস্তারিত জানা যাবে স্বচ্ছ ভারত মিশনের ওয়েবসাইটে। আমি নিশ্চিত যে এখানে এরকম স্কিম চালু করা হলে বাংলাদেশ এবং এর জনগণও উপকৃত হবে।

ভারত সরকার প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহী শহরের টেকসই উন্নয়ন ও খুলনা শহরের টেকসই উন্নয়নে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে একই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলেও জানান তিনি।

বর্তমানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রা পাচ্ছে বলেও জানান হাই কমিশনার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।