ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

১১-১৭ মার্চ ভিতরগড় উৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭
১১-১৭ মার্চ ভিতরগড় উৎসব সিএএস’র পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসেন জাহান বক্তব্য রাখছেন/ ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: আগামী ১১ থেকে ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভিতরগড় উৎসব। দেশের সর্ববৃহৎ প্রত্নস্থল ‘ভিতরগড়’ এর গুরুত্ব তুলে ধরার জন্যই আয়োজন করা হচ্ছে এ উৎসবের। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) সার্বিক সহযোগিতায় সেন্টার ফর আর্কিওলজিক্যাল স্ট্যাডিজের (সিএএস) উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিষয়টি তুলে ধরেন সিএএস’র পরিচালক অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসেন জাহান।
 
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের অমরখানা ইউনিয়নে অবস্থিত ভিতগড় প্রত্নস্থলটির আয়তন ২৫ বর্গকিলোমিটার, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বেষ্টনি-আবদ্ধ জনপদ।

২০০৮ সাল থেকে এখানে ইউল্যাব নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণা ও সংরক্ষণের কাজ করে আসছে। ২০১৩ সাল থেকে সরকার সহযোগিতা করছে।
 
ড. শাহনাজ হুসেন জাহান বলেন, ভিতরগড়ে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে ৮-৯ শতকে নির্মিত ৯টি স্থাপত্যের ভিত্তি কাঠামো এবং মাটি ও ইট দিয়ে তৈরি চারটি বেষ্টনির প্রকৃত স্বরুপ, পরিখা, প্রাচীন দশটি দিঘিসহ নানা ধরনের মাটি, লোহা, কাসা এবং পাথর নির্মিত প্রত্নবস্তু; যা বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক ইতিহাস আলোচনায় অমূল্য উপাদান।
 
তিনি বলেন, এই প্রত্নস্থলের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অমূল উপাদান আবিষ্কারের পাশপাশি তা সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া প্রত্ন নিদর্শনের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি এখানকার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিত করে তোলার উদ্দেশে আয়োজন করা হচ্ছে ভিতরগড় উৎসব।

এ উৎসবে সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্যে থাকবে-পাক্ষী খেলা, হাঁস খেলা, লাঠি খেলা, হুলীর গান, সত্যপীরের গান, শিশুদের জন্য চিত্রাংকন ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
 
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এই প্রত্নতত্ত্ববিদ বলেন, ভিতরগড়ে প্রত্নস্থলের দিক থেকে অত্যন্ত রিচ (সমৃদ্ধ) এবং গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার সব সম্পত্তি ব্যক্তিমালিকানাধীন। তাই এটার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভয়। সবাই মনে করেন- প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ আবিষ্কৃত হলে, তা সরকার নিয়ে নেবে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা। এজন্যই স্থানীয়দের এ প্রত্নস্থলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করতে। এতেই গড়ে উঠবে কমিউনিটি ট্যুরিজম। ফলে তারাই লাভবান হবেন। এছাড়া কমিউনিটি ট্যুরিজম ছাড়া পূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব নয়।
 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ইউল্যাবের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক জহিরুল হক ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের উপ-পরিচালক (প্রত্ন) মো. আমিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রয়ারি ২৪, ২০১৪
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।