ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পোশাক কারখানা এলাকায় অনিবন্ধিত শ্রমিক ফেডারেশন নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
পোশাক কারখানা এলাকায় অনিবন্ধিত শ্রমিক ফেডারেশন নয় ম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু

ঢাকা: অাশুলিয়াসহ অন্যান্য পোশাক কারখানা এলাকায় অনিবন্ধিত এনজিও এবং ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক ফেডারেশন অফিস রাখা যাবে না বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
 
 

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সরকারের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
 
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশুলিয়া ও গাজীপুর এলাকায় পোশাক কারখানাকে কেন্দ্র করে অনেক অনিবন্ধিত ট্রেড ফেডারেশন, বিভিন্ন এনজিও, যাদের এখানে কোনো কাজ নেই তারাও সেখানে অফিস করে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে শ্রমিকদেরকে বিভ্রান্ত করেন।

‘আমরা ঐকমত্যে এসেছি আশুলিয়াসহ বিভিন্ন গার্মেন্টস এলাকায় কোনোরকম আনরেজিস্ট্রার্ড ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশন এবং কোনো এনজিও অফিস থাকবে না’।
 
তবে রেজিস্ট্রার্ড ইউনিয়নের পাশাপাশি যারা গুড লেবার প্র্যাকটিস করছেন তাদের অফিস রাখতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানান চুন্নু।
 
গত ডিসেম্বরে সাভারের আশুলিয়ায় কিছু পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের কর্মবিরতি পালন করা নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃস্টি হয়েছিল।
 
ওই ঘটনায় অপরিকল্পিতভাবে ও শ্রমিক নেতাদের সম্পৃক্ততা ছাড়া আনরেস্টের সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেই পরিস্থিতি নিয়ে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল।
  
‘সেই দূরত্ব কমানো এবং পোশাকখাতে যেন ক্ষতিকর কিছু হতে না পারে সেজন্য এ খাতের সঙ্গে জড়িতদের গত কয়েকদিন বৈঠক করে শ্রমিক, মালিক ও সরকার যৌথভাবে সমঝোতায় এসেছি’।
 
শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মালিকপক্ষের মামলা দায়েরের বিষয়টি তুলে ধরে চুন্নু বলেন, মামলায় বেশ কিছু শ্রমিক নেতা গ্রেপ্তার হন, বেশিরভাগই জামিনে মুক্ত হয়েছেন। কয়েকজন থাকতে পারেন জামিন পাননি, আশা করি খুব শিগগিরই মুক্তি পাবেন।
 
শ্রমিক নেতা ও শ্রমিকদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো সরকারের পক্ষ থেকে আইনগতভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
 
ওই ঘটনার পর বেশকিছু শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছিল জানিয়ে চুন্নু বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করা হলে আমরা দায়িত্ব নিয়ে তাদের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা করবো। তারা যদি চাকরি করতে চান শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা হবে।
 
ওই সময় দেড় হাজার শ্রমিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে জানান বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেলে ফ্যাক্টরি বন্ধ করি। ফ্যাক্টরি খোলার দিন ৯৫ শতাংশ শ্রমিক উপস্থিত ছিলো।
 
সুস্থ শ্রমিক রাজনীতি অবশ্যই হওয়া উচিত মন্তব্য করে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অংশীদার বলেই মনে করি। ভালোভাবে যাতে তারা চলতে পারে এবং তাদের নিরাপত্তা বিধান করা সরকার এবং আমাদের দায়িত্ব।
 
ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আমিরুল হক আমিন বলেন, ২০২১ সালে পোশাক খাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন করার টার্গেট আছে, এর সঙ্গে আমরা শ্রমিক সংগঠনগুলো একমত। আমরা সহযোগিতা করতে চাই। সঙ্গে শ্রমিকদের জীবনমানেরও উন্নয়ন চাই।
 
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ এবং শ্রমিক নেতারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
 
**অাশুলিয়ায় বরখাস্ত শ্রমিকরা বকেয়া ও চাকরি ফিরে পাবেন

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।