ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হত্যা মামলা প্রত্যাহার নিয়ে সংসদে বিতর্ক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
হত্যা মামলা প্রত্যাহার নিয়ে সংসদে বিতর্ক

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: রাজনৈতিক বিবেচনায় হত্যা মামলা প্রত্যাহারে সরকারি উদ্যোগ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান (মেসবাহ) প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করলে বিতর্কের সৃষ্টি হয় সংসদে। এতে অংশ নেন সরকারি ও বিরোধীদলের সদস্যরা।
 
 

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এসময় পাল্টা বক্তব্য দিয়ে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এ ধরনের বক্তব্য সরকারে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা বলে মন্তব্য করেন।

একইসঙ্গে এরশাদের শাসনামলের মইজুদ্দিন হত্যা মামলার আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে পাল্টা ক্ষোভ জানান।  
 
বক্তব্যের মধ্যে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, সরকার চাইলে যে কোনো মামলা প্রত্যাহার করতে পারে, যদি সুনির্দিষ্ট গ্রাউন্ড থাকে।
 
জাপা এমপি ফজলুর রহমান গত ২০ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকের খবরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, আবারও রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
 
তিনি বলেন,  ১৯৯০ এর পর এরশাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার না হলেও ওই রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৬টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়। এসব মামলার বেশিরভাগই আওয়ামী লীগ সরকারের দুই আমলে করা। আবার ওইসব মামলার বাদী সরকার নিজেই।  
  
তিনি বলেন, এভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় হত্যা মামলা প্রত্যাহার করা হলে যাদের পরিবারের সদস্য খুন হয়েছে তারা কি বিচার পাবে না? এই ৩৪টি হত্যা মামলায় কেউ না কেউ তো খুন হয়েছে।
 
এসময় ডেপুটি স্পিকার পীর ফজুলকে বারবার থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং বসতে বলেন। এক পর্যায়ে পীর ফজলুর রহমান তার বক্তব্য শেষ করলে ডেপুটি স্পিকার বলেন, আপনি একটি খবরের কাগজের ওপর ভিত্তি করে কথাগুলো বলছেন। আপনার জানা উচিত, না জানা থাকলে জেনে যান।
   
পরে পীর ফজলুর বক্তব্যের বিরোধিতা করে চিফ হুইপ বলেন, বিরোধীদলে থাকলে অনেক কথাই বলা যায়। পত্রিকায় খবর দিয়ে অনেক খবর দেওয়া যায়, কোনটা সত্য কোনটা অসত্য এটা যাচাই করার সুযোগ থাকে না।
 
এসময় তিনি উল্লেখ করেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তখন আমাদের গাজীপুরের মইজদ্দিন ভাই যে মার্ডার হলেন। তাকে যারা মারল সেই ভদ্রলোকের নাম আজম। এরশাদ তখন ওই জায়গায় গিয়ে তাকে ভাই বলে পরিচয় করে দিয়ে মইজুদ্দিন হত্যার মামলার আসামিকে মামলা থেকে অব্যহতি দিলেন। আজ উনি ৩৪টি মামলার কথা বলেছেন, পত্রিকা দেখে এই সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে বিবৃতি দেওয়া কোনোমতেই তার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। ‌বরং বিএনপি ও এরশাদের আমলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, স্বাধীনতাবিরোধীদের মামলা, কোনো মামলাই সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করেন নি। উল্টো আসামিদের রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্য পদে সুযোগ দিয়েছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এসএম/এসকে/জেডএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ