ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাগীব আলীর ভূমি আত্মসাৎ মামলার রায় রোববার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
রাগীব আলীর ভূমি আত্মসাৎ মামলার রায় রোববার শিল্পপতি রাগীব আলী (ফাইল ফটো)

সিলেট: সিলেটের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাৎ মামলায় কথিত শিল্পপতি রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট ম‍ুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।

আদালতের পিপি মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন সম্পন্ন শেষে রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এ মামলায় মোট ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই ছাড়াও আসামিরা হলেন, রাগীব আলীর জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পংকজ কুমার গুপ্ত।

র‍াগীব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে তারাপুর চা বাগানের ভূমি বন্দোবস্তের নামে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি মামলায় গত ২ ফেব্রুয়ারি চারটি ধারায় মোট ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো। এ মামলায় কারাভোগ করছেন তারা।

এছাড়া মামলায় আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ারা ইস্যুর পর পলাতক থাকা অবস্থায় পত্রিকা প্রকাশের কারণে রাগীব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দায়ের করা অপর একটি মামলার বিচারক কাজ শুরু হয়েছে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে।

দেবোত্তর সম্পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেওয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দু’টি মামলা করলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে পুলিশ।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করায় দু’টি মামলা গত বছরের ১৯ জানুয়ারি পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট।

২০১৬ সালের ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল এবং ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে এদিনই রাগীব আলী তার ছেলেসহ সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যান।

১২ নভেম্বর দেশে ফেরার পথে জকিগঞ্জ সীমান্তে আবদুল হাই ও ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জে গ্রেফতার হন রাগীব আলী।

২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এরপর ১৭ জানুয়ারি আদালতে রাগীব আলীর পক্ষে আদালতে সাফাই সাক্ষ্য দেন তারই মালিকানাধীন মালনিছড়া চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার মাহমুদ হোসেন চৌধুরী ও আব্দুল মুনিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এনইউ/জিপি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।