ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘হুইল চেয়ারে এসেছি, পায়ে হেঁটে বাড়ি যাবো’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
‘হুইল চেয়ারে এসেছি, পায়ে হেঁটে বাড়ি যাবো’ সাভার সিআরপিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলছেন খাদিজা আক্তার নার্গিস

সাভার (ঢাকা): ‘হুইল চেয়ারে করে সিআরপিতে এসেছিলাম এখন সুস্থ হয়ে হেঁটে বাড়িতে যাব।এখন আমি নিজে নিজেই চলাফেরা করতে পারি, নিজের স্বাভাবিক কাজগুলো নিজেই করতে পারি।সকলের সহায়তার জন্য জানাই ধন্যবাদ। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।নতুন করে আবার শুরু করতে চাই নিজের জীবন।’ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিআরপির উদ্যোগে রেডওয়ে হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন খাদিজা আক্তার নার্গিস।

সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপিতে আড়াই মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর প্রায় ৯০ ভাগ সুস্থ হয়ে উঠেছেন সিলেটে বখাটে ছাত্রলীগ নেতার হামলায় আহত কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস।  নার্গিস জানান, তিনি সিআরপিতে প্রায় আড়াই মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা নিয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য নিয়ে আমি আবারও পড়াশোনা করতে চাই। লেখাপড়া শেষে একজন ব্যাংকার হিসেবে কাজ করতে চাই। ‘ সর্বোপরি নিজের স্বভাবিক জীবন যাপনে আবার ফেরত যেতে চান বলেও নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন খাদিজা।

চিকিৎসকরা তাদের বক্তব্যে খাদিজার শারীরিক অবস্থার অগ্রগতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, খাদিজা সিআরপিতে আসার আগ পর্যন্ত নিজের কোন কাজই অন্যের সাহায্য ছাড়া করতে পারতো না। শরীরের বামপাশ প্রায় সম্পূর্ণ অকার্যকর ছিল। সিআরপিতে চিকিৎসা নেয়ার পর এখন সে নিজের স্বাভাবিক কাজগুলো কারো সাহায্য ছাড়াই করতে পারে। খাওয়া দাওয়া করা, চুল আচড়ানো, ব্রাশ করা, চলাফেরা করা, লেখাপড়াসহ ইত্যাদি কাজ সে নিজে নিজেই করতে সক্ষম বলেও জানান চিকিৎসকরা।

তারা আরো জানান, খাদিজা নিজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। সে আবার লেখাপড়ায় ফিরতে পারবে, কারণ আগের থেকে তার স্মরণ শক্তি বেড়েছে। কোন ঘটনা শুনে বা কোন ভিডিও দেখে সে ভয় পায় না। সকল প্রকার প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়ার মানসিক শক্তি তার রয়েছে।
সাভার সিআরপিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কথা বলছেন খাদিজা আক্তার নার্গিস

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয় আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই খাদিজা সিআরপি থেকে নিজ বাড়ি সিলেটে ফিরে যাবেন। সেখানে যে কোন প্রকার সাময়িক অসুবিধা হলে সিলেট সিআরপিতে চিকিৎসা প্রদানের সুয়োগ রয়েছে। এমনকি সাভার সিআরপি থেকে সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে বলেও জানানো হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে খাদিজার বড় ভাই শাহীন আহমেদ, নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. সাঈদ উদ্দিন হেলালসহ সিআরপিতে খাদিজার চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সকল বিভাগের চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর স্কয়ার হাসপাতাল থেকে খাদিজাকে চিকিৎসার জন্য সাভারের সিআরপিতে ভর্তি করা হয়। এর পর আট সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম গঠন করে তার চিকিৎসা সেবা শুরু হয়। এরই ফলশ্রুতিতে আজ সে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে চলেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।