ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

উন্নয়নের জন্য ইটের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকারের উপায় নেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
উন্নয়নের জন্য ইটের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকারের উপায় নেই বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন-ছবি-সুমন

ঢাকা: উন্নয়নের জন্য ইটের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার উপায় নেই উল্লেখ করে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি। 

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ইট উৎপাদনে আইনি জটিলতা এবং পরিবেশবান্ধব ইটভাটা স্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুল।

 

তিনি বলেন, বায়ু দূষণের জন্য শিল্প কারখানা, যানবাহন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঙ্গে ইটভাটাও দায়ী। ফলে বিভিন্ন সময় আইন প্রয়োগ করে ইটভাটার ওপর জেল জরিমানাও করা হয়। এছাড়া ২০০১ সালে ইটভাটার উপর একটি অবাস্তব আইন পাশ করানো হয়। যেখানে সদর উপজেলা থেকে ৩ কি.মি. ও ঘরবাড়ি, বনজ, ফলদ, বাগান ইত্যাদি থেকে ১ কি.মির মধ্যে ইটভাটা নিষিদ্ধ। তবে এ আইন মানা হয়নি।  

পরবর্তীতে আমাদের প্রস্তাব উপেক্ষা করে আবারও ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ জারি করা হয়। এ আইনে আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটার স্বীকৃতি প্রযুক্তি নির্ধারণ করা হয়। ফলে ইটভাটা মালিকরা পরিবেশবান্ধব জিগজ্যাগ পদ্ধতিতে ভাটা স্থাপন শুরু করেন।  

তবে এ আইনে বিশেষ স্থাপনা, রেলপথ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা অনুরূপ কোনো স্থান ও গ্রামীণ সড়ক থেকে ১ কি.মি. দূরে ইটভাটা স্থাপন করতে হবে- এ ধারার কারণে জিগজ্যাগ ভাটার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না।

মিজানুর রহমান বলেন, এ আইনের কারণে আমরা যেখানেই ইটভাটা নির্মাণ করি তা কোনো না কোনো নিষিদ্ধ স্থানে পড়ছি। ২০১৩ সালের আইন প্রয়োগ হলে দেশের কোথাও ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। নির্মাণ কাজের সবস্তরে ইটের চাহিদা রয়েছে। উন্নয়নের জন্য ইটের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই এ আইন দ্রুত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।  

তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের চালিকা শক্তি। সারাদেশে ৬ হাজার ৫০০ ইটভাটায় ২০ লাখ শ্রমিক কর্মরত। ইটভাটা থেকে সরকার ৩০০ কোটি টাকা ভ্যাট ও ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব পায়। ইট শিল্প দেশের জিডিপির ১ ভাগ অবদান রাখে। এরপর সরকার ইটভাটার উপর নানাবিধ আইন ও লাইসেন্স গ্রহণের বিধান করেছে, যা ইট শিল্পের জন্য প্রযোজ্য নয়।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২০১৩ সালে সালের আইন বাতিল করে ২০১৬ সালের খসড়া আইন অনুমোদন না দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইট উৎপাদন ও ভাটা বন্ধ রাখা হবে বলে জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৭
এমসি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।