ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বইমেলায় সিসিটিভি ক্যামেরার দুর্বল মনিটরিং

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
বইমেলায় সিসিটিভি ক্যামেরার দুর্বল মনিটরিং বইমেলায় সিসিটিভি ক্যামেরার দুর্বল মনিটরিং/ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: প্রতিবারের মতো এবারো অমর একুশে বইমেলার নিরাপত্তায় স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি অকেজো। আর ক্যামেরাগুলোতে সংযুক্ত আটটি পিসি মনিটরিং করছেন মাত্র একজন।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা যায়, বইমেলায় লাগনো হয়েছে মোট ২৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। এর মধ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে রয়েছে ১০০টি।

এগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে আটটি পিসি দিয়ে। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গনে রয়েছে ১৪৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা। সেগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে নয়টি পিসি দিয়ে। এছাড়া দোয়েল চত্বর ও এর আশপাশে রয়েছে আরো সাতটির মতো ক্যামেরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যামেরার সংখ্যা পর্যাপ্ত হলেও মনিটরিং হচ্ছে না তেমনটি। বাংলা একাডেমির প্রবেশ গেটের ভেতরে তৃতীয়তলায় বসানো হয়েছে মনিটরিং রুম। যেখানে আটটি পিসিতে কাজ করছেন একজন পুলিশ সদস্য।

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোর দায়িত্বে রয়েছেন এসআই মোহাম্মদ রইচ হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সিসিটিভি ক্যামেরায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

আটটি পিসির জন্য একজন কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুপুরের খাবার খেতে যান। এছাড়া ডিউটি বদলির কারণেও অনেক সময় লোক কম থাকেন’।

তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি রাখছি না। কেউ হারিয়ে গেলে বা কারো কোনো কিছু খোয়া গেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেই’।

অকেজো সিসিটিভি ক্যামেরার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘বাংলা একাডেমিতে একটিমাত্র সিসি ক্যামেরা অকেজো বললে ভুল হবে। মাঝে মাঝে কাজ করে না। কাজ না করলে দ্রুত ঠিক করা হয়’।

এসআই আনারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন,  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৪৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সেগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে নয়টি পিসি দিয়ে। প্রতিটি পিসিতে একসঙ্গে ২০টির মতো জায়গা একসঙ্গে দেখা যায়।

মনিটরিং ও নষ্ট ক্যামেরার বিষয়ে তিনি বলেন, মনিটরিংয়ে কোনো গাফিলতি নেই। আর ক্যামেরা অকেজোও নয়। তবে কিছু কিছু ক্যামেরায় মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা হলে দ্রুত ঠিক করা হয়।

মনিটরিং রুমে কোনো লোক নেই- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, লোক না থাকার কোনো কারণ নেই। লোক অবশ্যই আছেন।

মেলায় আসা ব্যাংক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘ক্যামেরা থাকলেই যে নিরাপদ বোধ করবো, সেটি নয়। ক্যামেরা কাউকে সেফ করতে পারবে বলে আমি মনে করি না। এগুলো মনিটরিং ঠিকমতো হয় না বলেও আমার বিশ্বাস। যদি হতো, তবে লেখক অভিজিং এভাবে প্রকাশ্যে খুন হতেন না’।

গতবারের মতো এবারও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চার লাখ বর্গফুট জায়গাসহ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে মেলা চলছে। পুরো মেলা প্রাঙ্গনকে ১২টি গুচ্ছ আকারে সাজানো হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে ৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ১১৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩২৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪৯টি ইউনিটসহ মোট ৬৬৩টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ক্রেতাদের সুবিধায় ‘গুগল ট্রিট’ নামক অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্টলের নাম সার্চ দিলেই পাওয়া যাবে সেটির অবস্থান। টিএসসি ও দোয়েল চত্বরের মূল প্রবেশপথে এলইডি মনিটরও স্থাপন করা হয়েছে।

বাংলা একাডেমিতে প্রবেশের জন্য তিনটি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আটটি পথ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
আরএটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad