ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খুলনায় ইউএনওসহ ৬ জনের নামে মামলা

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
খুলনায় ইউএনওসহ ৬ জনের নামে মামলা

খুলনা: ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে দু’লাখ টাকার চেক নেওয়ার অভিযোগ এনে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুর রহমানসহ ছয় জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উপজেলার পানিগাতি গ্রামের সুলতান খানের ছেলে জাহিদ খান বাদী হয়ে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) খুলনার সহকারী জজ দৌলতপুর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

বাদী পক্ষের মামলা দাখিলকারী অ্যাডভোকেট মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, মামলা গ্রহণ করে আদালত আগামী ১৬ মার্চ শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।



জাহিদ খান জানান, তার নামে আগে ইস্যু করা চেক বইয়ে সাতটি পাতা থাকা স্বত্বেও ইউএনও আব্দুর রহমান ব্যাংক ম্যানেজারকে নতুন করে চেকবই ইস্যু করতে বাধ্য করেন এবং ওই চেকের তিনটি পাতায় মোট ২ লাখ টাকা লিখে জোর করে তার স্বাক্ষর নেন।

মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড দিঘলিয়া শাখার ব্যবস্থাপক কংকন কুমার দত্ত, উপজেলার পানিগাতি গ্রামের ছত্তার বিশ্বাসের ছেলে মো. আহাদ বিশ্বাস এবং ব্রহ্মগাতি গ্রামের মোক্তার শেখের ছেলে মো. মোফাজ্জেল শেখ ও সামছুর রহমান শেখের স্ত্রী মোছা. বেবী বেগম।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাদী জাহিদ খান ঢাকার উত্তর বাড্ডা ভাওয়ালী পাড়া মসজিদ রোড এলাকার গালফ বাংলা ট্রেনিং অ্যান্ড টেস্টিং সেন্টারে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি করেন। সে সুবাদে শর্ত সাপেক্ষে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ দিঘলিয়া উপজেলার পানিগাতি গ্রামের ছত্তার বিশ্বাসের ছেলে মো. আহাদ বিশ্বাস এবং ব্রহ্মগাতি গ্রামের মোক্তার শেখের ছেলে মো. মোফাজ্জেল শেখকে গত বছরের ১৮ জুন কাতারের কোম্পানি আরবাকন ট্রেডিং অ্যান্ড কন্ট্রাক্টিং-ইউসিসিতে প‍াঠায়। কিন্তু অসদাচরণের কারণে ১০ মাস পর তাদের দেশে ফের‍ৎ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার এক বছর পর তারা খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের কাছে অভিযোগ করলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি তিনি জাহিদকে নোটিশ করেন। নোটিশ হাতে পেয়ে তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউএনও দফতরে যান, আব্দুর রহমান কিন্তু ছিলেন না। ১৬ ফেব্রুয়ারি বাদী ফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দফতরে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে ২ লাখ টাকা দিতে চাপ দেন। এমনকি টাকা না দিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যম ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার ভয় দেখান। এক পর্যায়ে তিনি থানার ওসিসহ পুলিশের একটি দল হাজির করেন। এছাড়া সোনালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে ডেকে বাদির হিসাবের বিপরীতে চেকবই ইস্যু করিয়ে আলাদা তিনটি পাতায় ২ লাখ টাকা (দু’টিতে ৫০ হাজার করে এবং একটিতে এক লাখ) লিখিয়ে নেন এবং সাদা কাগজে স্বাক্ষর দিতেও বাধ্য করেন। ব্যাংকে ওই পরিমাণ টাকা নেই জানালে ইউএনও বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চেক ডিজঅনার করে তার নামে এনআই অ্যাক্টে মামলা করার হুমকি দেন।

এ প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংকের দিঘলিয়া শাখার ব্যবস্থাপক কংকন কুমার দত্ত জানান, ইউএনও আব্দুর রহমানের অনুরোধে তিনি জাহিদ খানের নামে চেক ইস্যু করেন। একজন ব্যাংক কর্মকর্তাকে ইউএনও’র দফতরে পাঠিয়ে বন্ডে স্বাক্ষর নিয়ে চেক বই জাহিদ খানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার প্রসঙ্গে কথা বলতে ইউএনও আব্দুর রহমানের সঙ্গে বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি একটি অনুষ্ঠানে আছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এমআরএম/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।