ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে পালিত

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে পালিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার/ ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজ

ঢাকা: যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে পালন করা হয়েছে। আব্দুল গাফফার চৌধুরীর কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলতে পারি...’ এর সুরে সুরে বাংলার ভাষা সৈনিকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানালো সমগ্র জাতি।

একুশের প্রথম প্রহরে জাতির পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা অতিথিদের স্বাগত জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সর্বপ্রথম শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদসহ অন্যরা।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনার অভিমুখে মানুষের ঢল নামে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার/ ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে সিনেট, সিন্ডিকেট সদস্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিসহ অন্য সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে প্রভোস্টের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
 
এরপরে প্রধান বিচারপতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ জুড়িশিয়াল সার্ভিস কমিশন, একুশে ল ইয়ার্স কাউন্সিল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট, বাসদ ( মার্কসবাদী), ছায়ানট, খেলাঘর, ইসলামী ব্যাংক, আনসারসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীধ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার/ ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজ

আওয়ামী লীগের পক্ষে  নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এমপি, মোজাম্মেল বাবু এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম প্রমুখ।

ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, আমি জীবনে কোনোদিন কোনো কাজে ব্যর্থ হইনি, শুধু ব্যর্থ হয়েছি একটি কাজে সেটা হলো আদালতের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করতে। যদিও কিছু বিচারপতি বর্তমানে অনেক সুন্দর করে বাংলা ভাষায় রায় দিচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি সফটওয়ার তৈরি করতে এটার কাজ চলছে। কাজ সম্পূর্ণ হলেই বিচার বিভাগের সর্বস্তরে বাংলা চালু সহজ হবে।

উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে মাঝে মাঝে কিছু বাধা আসে। আমরা এ বাধা মোকাবেলা করার প্রেরণা পায় একুশ থেকে। সেই দিন আমাদের ভাষা শহীদরা যার জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের সেই ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধারণ করতে হবে। শুদ্ধ করে বাংলা ভাষাকে শিখতে হবে। সবার আগে মাতৃভাষা তারপর বিদেশি ভাষা। মাতৃভাষা শিখে ১০টা বিদেশি ভাষা শিখলেও কোনো সমস্যা নেই। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার/ ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজ

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা জানাতে চাই বিশ্বের ৩২ কোটি বাংলা ভাষাভাষী জনগণ। আমাদের দাবি বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। আজকের দিনে এটাই আমাদের অভিন্ন দাবি।

এদিকে বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিদেশিদের পরিবেশনায় শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
এসকেবি/এমসি/আরআইএস/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।