ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঠেঙ্গার চরেই হবে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
ঠেঙ্গার চরেই হবে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প

ঢাকা: মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে সরিয়ে নিয়ে হাতিয়া দ্বীপের ঠেঙ্গার চরেই রাখার ব্যবস্থা করা হবে। দেশের মধ্যে অন্য কোথাও ক্যাম্প করে তাদের রাখার জায়গা নেই বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার এ নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় রোহিঙ্গাদের শরণার্থী ক্যাম্প সরানোর বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানিয়েছেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাদের জায়গা আছে ওইখানে (হাতিয়ার ঠেঙ্গার চর), অন্য কোথাও জায়গা নেই। ওখানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে পারবো। আমরা যেখানে তাদের রাখতে পারবো সেখানেই তো তাদের থাকতে হবে। আমাদের দেশের কোথায় আমরা জায়গা দিতে পারবো সেটা তো আমরাই ঠিক করবো। ’

মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে সরিয়ে হাতিয়া দ্বীপের ঠেঙ্গার চরে শরণার্থী ক্যাম্প করে রাখার ব্যবস্থা করতে সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেখানে শরণার্থী ক্যাম্প করার জন্য দাতা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাতা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা পেতে তাদের সঙ্গে কথা বলতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তবে ঠেঙ্গার চরে বসবাসের বিষয় নিয়ে কোনো কোনো দিক থেকে কিছু সমস্যার কথা বলা হচ্ছে।  এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি জার্মানির চ্যান্সেলার অ্যাঙ্গেলা মার্কেলকেও বলেছি আমাদের তো আর অন্য কোনো স্থানে রাখার জায়গা নেই।

সূত্র আরও জানায়, এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠেঙ্গার চরে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প করতে সহযোগিতার ব্যাপারে সব দাতা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে আবারও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তাদের বলেন সেখানে ক্যাম্প করার জন্য সহযোগিতা করতে। আমাদের বাংলাদেশের ভূমি, জলবায়ু তো এমনই। বর্ষা মৌসুমে পানি উঠে যায়। তা না হলে তোমরা পারলে জায়গা দাও। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
এসকে/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।