ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রদ্ধার ফুল কিনতে শাহবাগে ব্যস্ততা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭
শ্রদ্ধার ফুল কিনতে শাহবাগে ব্যস্ততা একুশে ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে শাহবাগের ফুলের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়; ছবি- সুমন

ঢাকা: ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাত পোহালেই বাঙালি জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে দিবসটি। ফুল হাতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাবে সেই সব বীর শহীদদের যারা বাংলা ভাষার জন্য উৎসর্গ করেছিলেন নিজের প্রাণ। দিবসটিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাজার শাহবাগে চলছে ফুল বিক্রির ধুম। শাহবাগ ফুল মার্কেটের স্থায়ী দোকানগুলোর পাশাপাশি নারী শিশুদেরও রাস্তায় বসে বা দাঁড়িয়ে ফুল বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এই ফুল বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। দোকানিরা ফুলের দাম বেশি নিলেও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানানো হবে- এই বিবেচনায় দামের বিষয়টি নিয়ে কেউ ভাবছে ‍না।

সবার একটাই লক্ষ্য এই মহিমান্বিত দিনটাকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সঙ্গে স্মরণ করা।

সোমবার (ফেব্রুয়ারি ২০) সরেজমিনে দেখা যায়, চেরি, গাঁদা, জিপসি, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধাসহ রংবেরং এর ফুলের সমারোহ শাহবাগ মোড়ে।

একুশের জন্য ফুল কিনতে আসা ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বিক্রেতারাও হিমশিম খাচ্ছে ফুল বিক্রি করতে।  কেউ ছোট তোড়া, কেউ ফুলের তৈরি শ্রদ্ধাঞ্জলি রিং ও আবার কেউ এক মুঠো গোলাপ নিচ্ছেন- মহান এই দিনটিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা  জানাতে।

ফুল কেনার দলে ব্যক্তিগত ক্রেতার তুলনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লোকজন বেশি। তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে ফুলের রিং নিয়ে যাচ্ছেন, কেউ কেউ অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন সকালে এসে নেবেন।

বিক্রেতারা পাইকারি দামে বিক্রির দাবি করলেও এসব ফুলের দাম অন্য দিনের তুলনায় নেয়া হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি।  গ্লাডিওলাস প্রতি স্টিক ২০ টাকা, গাঁদা প্রতিটি ৫ থেকে ৮ টাকা, গোলাপ ২০-৩০ টাকা, রজনী গন্ধা ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ফুলের রিং (যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়) এর দাম নেয়া হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
শাহবাগে ফুলের দোকানে উপচে পড়া ভিড়; ছবি- সুমন কবি নজরুল কলেজের পক্ষে ফুল কিনতে এসেছেন অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম। তিনি তিনটি শ্রদ্ধাঞ্জলির রিং কেনেন ৩ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে।  আশরাফুল ইসলাম বলেন, ফুলের দাম অনেক বেশি। আজকে দাম বেশি নেবে জেনেই এসেছি।

কতগুলো গাঁদা ও ২৫ টি গোলাপ দিয়ে বানানো রিং তিনটি ৩ হাজার ২০০ টাকা নিলো। এরা জানে,  স্পর্শকাতর বিষয় থাকায় আমরা বেশি দামাদামি করবো  না, তাই দামটাও বেশি রাখে।  ফুল বিক্রির বিষয়ে কথা হয় শাহবাগের ফুল দোকান সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে।

তিনি বলেন, এবার আমাদের ফুলের বিক্রি বেশ ভালো। শুধু একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ৫০ লাখ টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট করা হয়েছে। টার্গেট সামনে রেখে এখন পযর্ন্ত শাহবাগের প্রতিটি ব্যবসায়ী ফুল বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে পুরো পরিসংখ্যান কালকে দিন শেষে বলা যাবে। শাহবাগ রোড খোলা থাকলে টার্গেট পূরণ হবে।

ভ্যালেন্টাইন পুষ্পবিতানের কর্ণধার আব্দুল আজিজ বলেন, শাহবাগ থেকে শহীদ মিনার কাছে হওয়ায় রাজধানীর সব প্রান্তের মানুষ এখান থেকে ফুল নেয়।   এতে ব্যবসা ভালো হয়।   ২১ ফেব্রুয়ারি বলে আমরা ক্রেতাদের কাছে পাইকারি দামে ফুল বিক্রি করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২০,২০১৭
এমসি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।