ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘ভারতীয় চ্যানেল দেখে তালাক বাড়ছে কিনা গবেষণা হবে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
‘ভারতীয় চ্যানেল দেখে তালাক বাড়ছে কিনা গবেষণা হবে’ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী। ছবি: রানা

ঢাকা: ভারতীয় চ্যানেল নিয়ে গবেষণা হচ্ছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘ভারতীয় চ্যানেল দেখার পরে পরিবারে বিশৃঙ্খলা বেড়েছে, তালাক বেড়েছে এ রকম কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য আমাদের কাছে নাই।’

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সাগর-রুনি মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
 
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই ভারতীয় চ্যানেল দেখা হচ্ছে।

একশ কোটির বেশি মানুষ দেখে। ভারতে খোঁজ নিয়ে দেখবো, এসব চ্যানেল দেখার পরে সেখানেও পারবারিক কলহ দেখা দিচ্ছে কিনা। তারা অনুমোদন নিয়েই প্রচার করছে। এটা নিয়ে গবেষণা করব। ’
 
আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি আইনে কিছু সাংবাদিক গ্রেফতার হয়েছেন। আমার জানা মতে, সাংবাদিক কুলের বেশিরভাগই কাজ করছেন। দুই/একজন এই আইনের আওতায় পড়েছেন। এক নম্বরে পড়েছিলেন তথাকথিত আইনজীবী মাহমুদুর রহমান। ’
 
তিনি বলেন, অনেক আইনই আছে যেগুলো কার্যকরের সময় কিছু এদিক-ওদিক হয়। কিন্তু আদালতের নজরে এলে সেগুলো নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়। তারপরেও আইসিটি আইনের আওতায় গ্রেফতার হলে যতবার নজরে এসেছে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছি, বোঝার চেষ্টা করেছি।
 
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘২৮শ’র বেশি পত্র-পত্রিকা আছে। সেখানে কত হাজার সাংবাদিক কাজ করছেন? যদি সংখ্যাটা দেখেন, তাহলে এই আইন নিয়ে আপনারা তো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না। আমি তর্কে যাব না। আমরা দুটো আইন করতে যাচ্ছি- একটা সম্প্রচার আইন, আরেকটা সাইবার অপরাধ দমন আইন। সাইবার অপরাধ দমন আইনটা যুগের চাহিদা, এটা করবই আমরা।
 
তিনি বলেন, এটা করতে হবে এজন্য গণমাধ্যম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরো বাংলাদেশকে স্বচ্ছ কাচের ঘরে পরিণত করছে। সেখানে সব কিছু দেখা যায়।
 
সম্প্রচার এবং সাইবার অপরাধ আইন নিরাপত্তা দেবে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে প্রদত্ত বাক-ব্যক্তি সমালোচনা সংবাদপত্রের যে অধিকার সেটাকে সমন্বত রেখে এই আইন হচ্ছে। কোনো ধারা যদি সংবিধানের ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় তাহলে আইনের ওই ধারা বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং আপনারা নির্ভয়ে থাকুন, নিশ্চিন্তে থাকুন সাইবার অপরাধ আইন এবং সম্প্রচার আইন গণমাধ্যম ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকরণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
 
সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর আইনগত নিষ্পত্তি না করতে পারাটা আমাদের ব্যর্থতা। কিন্তু ব্যর্থতা কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করছি। যেহেতু ব্যর্থতা স্বীকার করছি, সুতরাং ব্যর্থতা কাটিয়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে এর বেশি মন্তব্য করার সুযোগ আমার পক্ষ থেকে নাই। তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমরা যৌথভাবে ব্যর্থতা কাটিয়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
 
নবম ওয়েজ বোর্ড প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি নতুন ওয়েজবোর্ডে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা পরীক্ষা করে রিপোর্ট তৈরি করে দিয়েছে, সেটি আমরা পরীক্ষা করছি। নবম ওয়েজবোর্ড তৈরি করা প্রাথমিক পদক্ষেপ হয়ে গেছে।
 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমইউএম/পিসি
**‘খালেদা দরকষাকষির ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছে’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।