ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতার করায় চাপ বাড়ছে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতার করায় চাপ বাড়ছে

ঢাকা: শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতার ও কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে নানামুখী চাপ বাড়ছে। বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় গার্মেন্ট ব্র্যান্ড ঢাকায় অনুষ্ঠেয় অ্যাপারেল সামিটে যোগ দেবে না বলে জানিয়ে দেওয়ার পর এবার বিশ্বের ১৬ শহরে একযোগে প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ইন্ডাস্ট্রি-আল গ্লোবাল ইউনিয়নের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ডিসি, লন্ডন, বার্লিন, অটোয়া, নিউইয়র্ক, ব্রাসেলস, দ্য হেগ, কাঠমান্ডু ও সিউলসহ বিশ্বের ১৬টি শহরে প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসব শহরের বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেটের বাইরে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মী, বেসরকারি সংস্থা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কর্মীরা জড়ো হয়ে ওই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন।

কর্মসূচিতে কারারুদ্ধ শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়। একইসঙ্গে এ ধরনের গ্রেফতার-অভিযান বন্ধের দাবি জানানো হয়।

এসব কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনে উস্কানির মিথ্যা অভিযোগে গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত ৩৪ জন ইউনিয়ন নেতা ও শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে গত ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ ইউনিয়ন নেতাকে। তাদের এখন পর্যন্ত কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এবং কাউকে অভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়া হয়নি।

এ ধরনের গ্রেফতার অভিযান শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার আদায়ের পথকে রুদ্ধ করবে উল্লেখ করে ইউনি গ্লোবাল ইউনিয়নের উপ-সাধারণ সম্পাদক ক্রিস্টি হফম্যান বলেন, দেশের আয়ের বড় যোগানদাতা শ্রমিকদের এমন হয়রানি বন্ধে এবং তাদের সম্মান দিতে বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ’র প্রতি আহ্বান জানাই।

শ্রমিকদের পক্ষে বিশ্বজুড়ে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে আমলে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান ইন্ডাস্ট্রি-আল গ্লোবাল ইউনিয়নের সহকারী সাধারণ সম্পাদক জেনি হোল্ডক্রফট।

এর আগে, শ্রমিক ইউনিয়নে নেতাদের হয়রানির প্রতিবাদে এইচঅ্যান্ডএম, ইনডিটেক্স, সিঅ্যান্ডএ এবং টেকিবো সহ বিশ্বের বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় গার্মেন্ট ব্র্যান্ড জানিয়ে দেয়, পোশাক খাতে এভাবে আগ্রাসন চলতে থাকায় তারা ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠেয় অ্যাপারেল সামিটে যোগ দিচ্ছে না। ওই কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাকার কথা রয়েছে।  

আশঙ্কা করা হচ্ছে, শীর্ষস্থানীয় এ গার্মেন্ট ব্র্যান্ডগুলো সামিটে না থাকলে সেটা পোশাকখাতে বাংলাদেশের বিরূপ অবস্থানেরই বার্তা দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।