ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘লিটনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
‘লিটনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়’

সংসদ ভবন থেকে: গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।

রোববার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, লিটনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি।

তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শিকারিরা যেমন পাখিকে গুলি করে হত্যা করে, ঠিক তেমনি লিটনকেও পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ বড় দুঃখের কাহিনী। বুলেটবিদ্ধ লিটনকে যখন তার স্ত্রী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন, আমি খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যাই। তার স্ত্রীর একটা আকুল আবেদন ছিল হয়তো তাকে ঢাকা নিয়ে গেলে বাঁচানো যাবে। সেদিন লিটনকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনতে অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, লিটনের বিরুদ্ধে যখন শিশু সৌরভকে গুলি করার অভিযোগ আনা হয় তখন বাংলাদেশের প্রেস উন্মাদ হয়ে গিয়েছিল। সবাই নানারকম কথা বলাবলি করেছিল। তখন আমিই এমপি লিটনকে প্রোটেকশন দেই। তারা আমার বিরুদ্ধেও নানা রকম বিষোদগার করেছিল। আমরা মিডিয়ার কাছে সেদিন হেরে গিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, তার (লিটনের) কাছ থেকে শোনা, তার স্ত্রীর কাছ থেকে শোনা- লিটন ভোর বেলা যাচ্ছিলেন বৈরাগীর হাটে মাছ কিনতে। যেটি ছিলো জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকা। সেই এলাকায় কিছু লোক তার গাড়িতে ঢিল ছোড়ে। তখন তিনি আত্মরক্ষার জন্য গুলি করেছিলেন, গুলিটি শিশু সৌরভের পায়ে লাগে। সৌরভের পায় লাগবে তিনি কল্পনাও করেননি। সেই সৌরভও কিন্তু বলেছে।

ডেপুটি সিপকার বলেন, আমরা শত চেষ্টা করেও লিটনের আগ্নেয়াস্ত্র ফেরত দিতে পারিনি, তার স্ত্রীর অস্ত্র ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেও পারিনি। সেই সময় যদি এ সহায়তা পেতাম তাহলে হয়তো বা আমাদের লিটনকে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হতো না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৭
এসএম/এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।