ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

খাগড়াছড়ি আ.লীগের আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক বর্জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
খাগড়াছড়ি আ.লীগের আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক বর্জন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার আহ্বায়ক নির্মলেন্দু চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের ডাকা জরুরি আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক বর্জন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৭টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবুল আমিন, পৌর মেয়র রফিকুল আলম, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের দায়ে অভিযুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক জাহেদুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইছ উদ্দিন, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবুল আমিন এ বিষয়ে বলেন, বৈঠকে সবাইকে উপস্থিত থাকাতে বলা হয়েছে। কিন্তু, স্থানীয় এমপির নেতাকর্মীরা বৈঠকে উপস্থিত থাকাবেন না বলে জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেন, দিন দুপুরে সবার সামনে নির্মলেন্দু চৌধুরীর ওপর যারা হামলা করেছে সেই জাহেদ-রফিককে আটক না করে উল্টো তাদের সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা বৈঠক করবে! এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

এদিকে বৈঠকে জেলার সর্বশেষ আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে আলোচনা হয়। চলমান পরিস্থিতি নিরসনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে অবহিত করা, হামলা-মামলার ঘটনায় পুলিশের শক্ত অবস্থানে যাওয়া, শালবন এলাকায় বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই ছাড়া বৈঠক থেকে পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী পৌর মেয়র রফিকুল আলমকে জেলার আইন-শৃঙ্খলা এবং বিচার শালিশের বিষয়ে গুরুত্ব না দিয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার উন্নয়ন ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। পাশাপাশি রাজনীতির বিষয়টি বড় ভাই জাহেদুল আলমের ওপর ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

নির্মলেন্দু চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় খাগড়াছড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পৗর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হোসেন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় জাহেদুল আলম, পৌর মেয়র রফিকুল আলম, আবুল কাশেম, মো. দিদার ওরফে কসাই দিদার, মো. আবুল কালাম আজাদ, সবুজ দে, বোরখান চৌধুরীসহ ৩৮জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০/২৫জন অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা করেন।

এদিকে নির্মলেন্দু চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় জরুরি বৈঠক করেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। বৃহস্পতিবার রাতে সনাতন সমাজকল্যাণ কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগোর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক থেকে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২০ জানুয়ারি বিবৃতি প্রদান, ২১ জানুয়ারি মন্দিরে মন্দিরে কালো প্রতিবাদ ব্যানার এবং ২২ জানুয়ারি মানববন্ধন এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad