ঢাকা: সড়ক ভবন ও শিশু একাডেমীর দখলে থাকা সুপ্রিম কোর্টের জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেন।
এ আদেশের ফলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং শিশু একাডেমীর দখলে থাকা জমি সুপ্রিম কোর্টের বলে গণ্য হলো। আর এতে এ দুটি স্থাপনাই সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
৫৫ একর এলাকা আওতায় নিয়ে ১৯১০ সালে নির্মিত হয় তৎকালীণ গভর্নর হাউজ। পরে ১৯৪৭ সালে এটিতে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট স্থাপন করা হয়। এরপর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ওই ৫৫ একর জমির অধিকারী হয়।
১৯৭৫ সালে সামরিক সরকার এসে এ জমি থেকে শিশু একাডেমীকে ৩ একর এবং ১৯৭৯ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ৮ একর জমি লিজ দেয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ জানুয়ারি হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজামান সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট ইখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া জনস্বার্থে সম্পত্তি উদ্ধারে রিট মামলা দায়ের করেন।
শুনানি শেষে গত ১০ মার্চ হাইকোর্ট রিটকারীর পক্ষে রায় দেন।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও শিশু একাডেমীর পরিচালক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পৃথক দু’টি আপিল করেন।
ওই আপিলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তাদের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
ফলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপির বিভাগে বহাল থাকল।
শুনানিতে রিটকারীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মঞ্জিল মোর্শেদ এবং আপিলকারীর পক্ষে অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট মুনসুর হাবিব অংশ নেন।
এদিকে, রায় শেষে রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জিল মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ রয়ের ফলে শিশু একাডেমী ও সড়ক জনপথ বিভাগ উক্ত জায়গা ছেড়ে দিতে বাধ্য। ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে সুপ্রিম কোর্টের জায়গা থেকে সরিয়ে দিতে আর কোনও আইনী বাধা নেই। ’
এ সময় সাংবাদিকরা তিনটি প্রতিষ্ঠানই সরকারি এমন প্রশ্ন তুললে তিনি বলেন, সংবিধানের ধারা ১০০ তে রয়েছে সুপ্রিম কোর্ট একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এটা তার নিজস্ব সম্পত্তি সরকার তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১১