ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিএফএল বাল্ব: ডেনমার্ক বছরে ৫৬ কোটি টাকা দেবে

স্টাফ করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৩ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১০

ঢাকা: বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাল্ব সিএফএল (কমপ্যাক্ট ফোরোসেন্ট ল্যাম্প) বিতরণের জন্য বাংলাদেশ সরকার ডেনমার্কের কাছ থেকে প্রতি বছর ৬ ৫ লাখ ইউরো (প্রায় ৫৬ কোটি টাকা) পাবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে কার্বন ট্রেডিং চুক্তির আওতায় এ সহায়তা দেবে ডেনমার্ক।



আজ বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ডক্টর তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ডেনমার্ক সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে ৩ বছরের একটি চুক্তি এরই মধ্যে সম্পাদিত হয়েছে।  

আগামী ১৯ জুন দেশের ২৭টি জেলাতে বিনামূল্যে সিএফএল বাল্ব বিতরণ শুরু করা হবে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিএফএল বাল্ব ব্যবহারে প্রচুর বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

২০১০-১১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে উন্নয়নের কৌশলের যে পথনকশা তৈরি করেছে তার আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলেও জানান তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা আমাদের দেশকে দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা কাবর্ণ নিঃসরণ না করেও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ক্ষতির শিকার হচ্ছি। তাই বিশ্বের অন্যতম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ ডেনমার্কের সঙ্গে এই কার্বন ট্রেডিং চুক্তি করা হয়েছে। এর আওতায় সাধারণ বাল্বগুলো অক্ষত অবস্থায় ফেরত নিয়ে গুদামজাত করা হবে। পরে আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতির মাধ্যমে ঐ সাধারণ বাল্বগুলো ধংস করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুল হক, বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম আলমগীর কবিরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিএফএল বাল্ব বিতরণের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে তা জনগণকে জানতে হবে। এই জনসচেতনতার জন্য সংবাদপত্রের গুরুত্ব অনেক। বর্তমানে বিদ্যুতের যে অবস্থা তাতে হঠাৎ করেই চাহিদা পূরণ করা যাবে না। আমরা বিদ্যূতের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই।

বিদ্যুৎ সচিব জানান, আগামী ১৯ জুন প্রথম পর্যায়ে সারাদেশে বিনামুল্যে ৫৫ লাখ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি সিএফএল (কমপ্যাক্ট ফোরোসেন্ট ল্যাম্প) বাল্ব বিতরণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ২৭টি জেলার এই বাল্ব বিতরণ করা হবে।

তিনি জানান, এর আগে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে রাজধানীর রাজারবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় ২৩ হাজার ৫’শটি সিএলএফ বাল্ব বিতরণ করা হয়েছে। বুয়েট বিশেষজ্ঞদের হিসেবে, এর ফলে শূন্য দশমিক ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে। পুরো প্রকল্পটি পল্লীবিদ্যুৎ বোর্ডের (আরইবি) অধীনে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পিডিবিসহ অন্য সব সংস্থা কাজ করছে আরইবির আওতায়। প্রথম পর্যায়ের ৫৫ লাখ বাল্ব বিতরণ করা হবে মোট ১৮ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে।

বিনামূল্যে সিএফএল বাল্ব পাওয়ার জন্য প্রত্যেক গ্রাহককে নিজ বাড়িতে ব্যবহার করা সাধারণ বাতি অক্ষত অবস্থায় স্থানীয় কেন্দ্রে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি সর্বশেষ বিদ্যুৎবিলের আসল কপিও সঙ্গে আনতে হবে। একজনকে সর্বোচ্চ ৪টি সিএফএল বাল্ব দেওয়া হবে।

যে ২৭টি স্থানে সিএফএল বাল্ব বিতরণ করা হবে সেগুলো হল খুলনা, কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ি, গোপালগঞ্জ, বাগেরহাট, ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, চাপাইনবাবগজ্ঞ, নিলেট, রংপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, রাজশাহী ও নাটোর।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১০
এইচএ/এমএমকে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।