কক্সবাজার, জুন ১৬ (বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম ডটবিডি) ঃ
কক্সবাজার ও বান্দরবানে ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ৩৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পাহাড় ধসে নিহতদের মধ্যে ৫ সেনা সদস্যের জানাযা বুধবার বেলা ১১টায় সেনাবাহিনীর ১৭ ইসিবি (ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ান) মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ৫টি লাশের মধ্যে সৈনিক মোহাম্মদ ইসমাইলের লাশ নিকটাত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদের লাশ সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একজন সেনা সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক গিয়াস উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রবল বর্ষণে পাহাড় ধ্বসে কক্সবাজার শহরে একজন, রামুতে ৬ জন, উখিয়ায় ৮ জন ও টেকনাফে ৩৪ জন নিহত হন। এদের মধ্যে রামু উপজেলাধীন হিমছড়ি এলাকায় সেনা ক্যাম্পে নিহত ৬ সেনাসদস্যের মধ্যে একজনের লাশ এখনও উদ্ধার হয়নি। ’
তিনি জানান, পাহাড় ধসের ঘটনায় ৩৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩২ জন টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, প্রবল বর্ষণজনিত পাহাড়ি ঢলে সড়ক ডুবে যাওয়ায় কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। বর্তমানে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যারা আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন তাদের শুকনো খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া আর্থিক সহায়তার দেওয়ার লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ’
এদিকে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের প্রধান মেজর জেনারেল আসহাব উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের জিওসি মেজর জেনারেল শামীম চৌধুরীর উপস্থিতিতে হিমছড়ির ১৭ ইসিবি মাঠে বুধবার বেলা ১১টায় ৫ সেনা সদস্যের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল ছাড়াও সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা জানাযায় অংশ নেন।
কক্সবাজারস্থ ১৭ ইসিবি অধিনায়ক কর্ণেল রেজাউল মজিদ জানান, নিহত সেনা সদস্যদের মধ্যে উখিয়ার বালুখালী এলাকার সৈনিক ইসমাইলের লাশ তার নিকটাত্মীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য ৪ জনের লাশ সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে যার যার গ্রামের বাড়িতে লাশ পৌঁছানো হবে।
তিনি আরো জানান, এখনো একজন সেনা সদস্যের লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তার লাশ উদ্ধারে অভিযান এখনো চলছে।
নিহত সেনা সদস্য মোহাম্মদ ইসমাইলের চাচা আমির হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের প্রবাসী বাবা দেশে পৌঁছেছেন। বিকেল সাড়ে ৫টায় বালুখালী দক্ষিণ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। ’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আহমদ টেকনাফ পরিদর্শনে গেছেন।
বাংলাদেশ সময়: বিকাল ০৩:৫৬ ঘন্টা, জুন ১৬, ২০১০
প্রতিনিধি/একে