রাঙামাটি: রাঙামাটির রাজস্থলীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ১ জন কর্মী নিহত এবং আরো ১ জন আহত হয়েছেন। নিহতের নাম স্বপন তঞ্চঙ্গ্যা (৩৫)।
গতকাল মঙ্গলবার জন সংহতি সমিতির সংস্কারপন্থি গ্রুপের একজন সদস্য নিহত হওয়ার পর আজ বুধবার মূল দলের (সন্তু লারমা) দুই জন হতাহত হলেন।
রাজস্থলী থানার সেকেন্ড অফিসার মহসিন সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন, সকাল ৭টার দিকে উপজেলা সদর থেকে দশ কিলোমিটার উত্তরে মদন কার্বারিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্বপন তঞ্চঙ্গ্যার পরিবারের সদস্যরা জানান, মোবাইল ফোনে ব্যালান্স রিচার্জ করার জন্য বাড়ির কাছে একটি দোকানের দিকে যাচ্ছিলেন স্বপন এবং রাহুল। পথে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের উপর হামলা চালায়। এতে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বপন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
মাথায় ও পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হলে রাহুলকে প্রথমে রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।
সকালে রাজস্থলী থানার সেকেন্ড অফিসার মোহাম্মদ মহসীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বপন তঞ্চঙ্গ্যার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত এবং আহতদের নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছেন জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা। তিনি এই ঘটনার জন্য পার্বত্য শান্তিচুক্তিবিরোধী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে(ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন।
নিহতের স্বজনরাও ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন।
তবে ইউপিডিএফের রাঙামাটি ইউনিটের নেতা মাইকেল চাকমা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময় ১১৩০ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১০
প্রতিনিধি/এমএমকে/জেএম