ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়ক প্লাবিত: বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১১

বান্দরবান: টানা প্রবল বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যার পানিতে বান্দরবানের সঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, তিন দিনের টানা বর্ষণে শুক্রবার সকাল থেকে বান্দরবান চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়ার আমতলিতে প্রধান সড়ক পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

একইসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আদর্শগ্রাম-জারুলিয়াছড়ি সড়কও প্লাবিত হবার কারণে জেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

স্থানীয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, জেলার লামার মাতামুহুরী ও সাঙ্গু নদীতে পানি বাড়ার কারণে এখন নিন্মাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। তবে যে কোনও সময় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

উল্লেখ্য, বৃষ্টির কারণে বান্দরবানের পাহাড়গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে জেলা শহরের ইসলামপুর, সøুইসগেইট এলাকা, হাফেজঘোনা, বালাঘাটা, কালাঘাটা, বাসস্টেশন, কাসেমপাড়া, বনরুপাপাড়া, ক্যাউচিংঘাটা, লাঙ্গিপাড়া, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি, ঘুমধুম ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে।

বর্ষণ অব্যাহত থাকার কারণে যে কোনও সময় পাহাড় ধ্বসে হতাহতের আশংকা করছে স্থানীয়রা।

এদিকে পাহাড়ের পাদদেশে বাসবাসকারীদের সেখান থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা শহরে শুক্রবার ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে।

তবে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ডা. ইসমাইল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাশে অনেকে বসবাস করলেও তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়নি।
 
প্রতি বছরের বর্ষা মৌসুম আসলে ঝুঁকির মধ্যে থাকা কিছু সংখ্যক পরিবারকে সরানো হলেও তাদের জন্য স্থায়ী মাথাগোঁজার ব্যবস্থা না করায় তারা বর্ষা কেটে যাওয়ার পর ফের ওইসব স্থানে গিয়ে বসবাস শুরু করে থাকে।
 
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র জাভেদ রেজা বাংলানিউজকে বলেন, ‘জনগণকে বিপদমুক্ত করতে পাহাড় থেকে সরে যাবার জন্য  প্রচারণা চলানো হয়েছে। ’

এদিকে, টানা বর্ষণের কারণে জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সারাদিন শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো জনশূণ্য থাকছে।

উল্লেখ্য, বৃক্ষ উজার ও পাহাড় কেটে বসবাসের কারণে প্রতিবছর জেলার লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, আলিকদমসহ ৭টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধ্বসে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, ০১ জুলাই, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad