ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে যুবক হত্যার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১১

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বৃহস্পতিবার রাতে বাবার সামনে ছেলে মোহাম্মদ নাহিদকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে হত্যা করে। এতে এলাকায় এখন তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।



অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) সদস্যদের টহল।

হত্যাকাণ্ডের পর নাহিদকে বাসা থেকে ডেকে নেওয়া স্থানীয় সন্ত্রাসী খেলাফত হোসেন রাজুর বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। রাত ২টা পর্যন্ত জ্বলা আগুনে খেলাফত ও তার ভাই খোরশেদের মালিকানাধীন অন্তত ৮টি টিনসেড ও বেড়ার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

আগুন লাগার পর এসব ঘরে থাকা লোকজন কোনোমতে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে সমর্থ হন। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ওইসব ঘরের সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন লাগানোর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া দেয়।

এদিকে, শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত হত্যাকা-ের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় কোনো মামলা হয়নি। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের বড় ভাই নাজমুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, লাশের দাফন শেষে মামলা করা হবে।

মামলায় কাদের আসামি করা হতে পারে, তা এখনই জানাতে রাজি হননি তিনি। তবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তার ভাই হত্যার বিচার চেয়েছেন।

নিহত নাহিদ আওয়ামী লীগের সমর্থক। তবে তিনি আওয়ামী লীগ কিংবা এর সহযোগী সংগঠনের কোনো পদে ছিলেন না।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইনুল হক বাংলানিউজকে জানান, নিহত নাহিদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ নাহিদ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দাপা পিলকুনী এলাকার আ. সাত্তার মিয়ার ছেলে।

বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে অবস্থিত ২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আ. সাত্তার মিয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, স্থানীয় এমপি সারাহ বেগম কবরীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সিরাজুল সেন্টুর নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী খেলাফত হোসেন রাজু ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকা- ঘটিয়েছে।

তিনি জানান, রাত ৮টায় খেলাফত হোসেন রাজু, দুলাল, রনিসহ ৭/৮ জন যুবক লাটিসোটা, হকিস্টিক ও অস্ত্র নিয়ে নাহিদের বাসায় প্রবেশ করে তাকে তার বাবা আ. সাত্তার মিয়ার সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। পরে নাহিদকে ফতুল্লার দাপা ব্যাংক কলোনি এলাকায় নিয়ে রাস্তার পাশে মাটিতে ফেলে লাটিসোটা, রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।