ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

বাজেট প্রতিক্রিয়া

‘কৃষিখাতে বরাদ্দ বেড়েছে, উপেক্ষিত কৃষি উপখাতগুলো’

স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১০

ঢাকা: সরকার এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিখাতের উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে তবে কৃষি উপখাতগুলো আগের মতই উপেক্ষিত রয়েছে বলে দাবি করেছেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ। উপখাতগুলোতেও বাজেট বরাদ্দে সরকার উদ্যোগ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।



প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০১০-২০১১ এর কৃষিখাত নিয়ে চ্যানেল আই আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে শাইখ সিরাজ একথা বলেন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসকাবে এ সাংবাদিক সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়।

শাইখ সিরাজ জানান, বাজেটের আগে তারা অর্থমন্ত্রীর কাছে কৃষি সম্পর্কিত ৪৪ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছিলেন। দেশের বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে ২৩টি আলোচনার মধ্য দিয়ে এ সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করা হয়।  

প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য ৭ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে।

নদী খনন ও ভূ উপরিস্থ পানির উৎস বাড়ানো, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করা, শস্যবীমা/কৃষিবীমা চালু ও বৈরি জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল ফসলের জাত কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়াসহ ১৩টি সুপারিশের প্রতিফলন বাজেটে রয়েছে বলে জানান শাইখ সিরাজ।

তবে কৃষির উপখাত যেমন- মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ, চিংড়ি শিল্প, পোল্ট্রি ও দুগ্ধ খামারগুলো উপেক্ষিত রয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।

শাইখ সিরাজ বলেন, ‘বর্তমানে দুই হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মূদ্রা অর্জিত হয় চিংড়ি খাত থেকে। কিন্তু এবারের বাজেটে এ শিল্পের জন্য কোনো দিক নির্দেশনা নেই। এই শিল্পের সংশ্লিষ্টদের মতে সরকার একটু দৃষ্টি দিলেই চার হাজার কোটি টাকার চিংড়ি রপ্তানি করা সম্ভব”।

তিনি অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে সঠিক তথ্য জেনে সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ জানান।
 
তিনি বলেন, ‘যেহেতু অর্থনীতিবিদরা প্রতি বছর সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন, তাই তাদের উচিত মাঠে গিয়ে সঠিক তথ্য এনে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া, তবেই কৃষকরা উপকৃত হবেন’।

শাইখ সিরাজ গণমাধ্যমকেও এব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘন্টা, ১৫ জুন, ২০১০
আরটি/এমএমকে/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।