নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে উদ্বোধনের আগেই ধসে গেছে নবনির্মিত একটি সেতু। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বড়াইগ্রাম পৌরসভা সূত্র জানায়, পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার লক্ষ্মীপুর বাজারের সঙ্গে ভরতপুরের সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বড়াল নদীর ওপর ১০ মিটার লম্বা সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় গত জুনের প্রথম সপ্তাহে। গত শুক্রবার সেতুটির শাটারিং খুলে দেওয়ার পর রাতেই সেটি ধসে পড়ে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঠিকাদারসহ সংশিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শনিবার বেলা ১১টার দিকে সেতু এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে বড়াইগ্রাম পৌরসভার মেয়র ইছাহাক আলী ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ সেতুটি পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, পৌর মেয়রের সহায়তায় ঠিকাদার ফজলুর রহমান নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় সেতুটি ধসে পড়েছে। নিম্নমানের নির্মাণসাগ্রী ব্যবহারের প্রতিবাদ করায় বাবু নামে স্থানীয় একজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা ঠুকে দেন ওই ঠিকাদার। মামলায় তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
এছাড়া নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই পৌর মেয়র ঠিকাদারকে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করেছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার ফজলুর রহমানের সেল ফোনে (০১৭১২-১৩৩২৪৭) একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে মেয়র ইসাহক আলী জানান, ‘ঠিকাদারের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করায় বাবুকে আটক করেছিল পুলিশ। ’
বিল পরিশোধের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘পানির স্রোতের কারণে সেতুটি দেবে গেছে। বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে এবং সেতুটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হবে। ’
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১০