ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

পাথর উত্তোলন: ৪ সচিবসহ ১১ জনকে উকিল নোটিশ

জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১১
পাথর উত্তোলন: ৪ সচিবসহ ১১ জনকে উকিল নোটিশ

বান্দরবান: বান্দরবানের রুমা উপজেলার অপরিকল্পিত ভাবে পাথর উত্তোলন করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিকার চেয়ে চার সচিবসহ ১১ জনকে উকিল নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

বেলা’র আইনজীবী মো. ইকবাল কবির স্বাক্ষরিত গত ৩১ মার্চ প্রেরিত (এলএন/২০১১-২৯) পত্রে বলা হয়, ভূর্গস্থ ও মাটির উপরে থাকা বড় বড় পাথর উত্তোলন করার ফলে ঝিরিগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।

এতে দুটি ম্রো আদিবাসী পাড়ার ৫৩টি পরিবারের প্রায় ৪ শতাধিক মানুষ এবং মিনঝিড়ি পাড়ার ৪৫টি পরিবারের প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ তীব্র পানি সংকটের কবলে পড়বে।

জেলার রুমা উপজেলার গ্যালেঙ্গা ইউনিয়নের পান্তলা মৌজার অধ্যুষিত লাংচাপাড়া, নামদুইপাড়ার ডলু ঝিরি এবং পলি মৌজার বেথেল পাড়া, মিনঝিরি পাড়া, পলি পাড়ার বড় পলি খাল ও ছোট পলি খাল পাথর উত্তোলন করার কারণে সচিব পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়,  ভূমি মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম, বান্দরবান জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১১জনকে এই নোটিশ প্রেরণ করা হয়।

জেলা আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জোয়াম লিয়ান আমলায় বাংলানিউজকে জানান, অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে পাহাড়ের ঝিড়ি-ঝর্ণা শুকিয়ে যাচ্ছে, ফলে তীব্র পানি সংকটে এখন জেলার সাত উপজেলায় বসবাসরত আদিবাসীরা।

বেলার উকিল নোটিশ প্রসঙ্গে বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘পাথর উত্তোলন বদ্ধ না করার বিষয়ে আমরা কোনো চিঠি পাইনি। ’

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান সদর উপজেলায় ৫টি, লামা উপজেলায় ২৩টি রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২টি এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৬টি মোট ৩৬টি কোয়ারির অনুমতি দিয়েছেন। অথচ অবৈধভাবে প্রায় ৩০টি কোয়ারি পাথর উত্তোলন করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।