ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একুশ আমাদের মাথা নত না করার শিক্ষা দেয়। শিক্ষা, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি সকল ক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধনে একুশের এ চেতনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাঝে আছে অসম্পাদায়িক মন-মানসিকতা, কর্মসহিংসতা। আমরা রক্ত দিয়ে যে ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা করেছি একুশে এ চেতনা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘বাঙালিরা সব কিছু করতে পারে। বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা আয়োজন করে পৃথিবীর মাঝে আমরা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছি। ’
রোববার সকাল ১১টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৩ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘একুশে পদক-২০১১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বীর শহীদদের স্মরণে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ আমাদের প্রতিটি অর্জন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পেতে হয়েছে। মায়ের ভাষার জন্য একমাত্র বাঙালিরাই জীবন দিয়েছেন। তারা প্রাণ দিয়ে মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠা করেছেন। ’
তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন।
এবারে একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন- ভাষা সৈনিক শওকত আলী (ভাষা আন্দোলন-মরণোত্তর), মোশারেফ উদ্দিন আহমদ (ভাষা আন্দোলন-মরণোত্তর), ওস্তাদ আখতার সাদমানী (শিল্পকলা-মরণোত্তর), আবদুল হক চৌধুরী (গবেষণা-মরণোত্তর), আমানুল হক (ভাষা আন্দোলন), বাউল করিম শাহ (শিল্পকলা), জোৎস্না বিশ্বাস (শিল্পকলা), মিসেস নূরজাহান বেগম (সাংবাদিকতা), আলহাজ মো. আবুল হাশেম (সমাজসেবা), মো. হারেস উদ্দিন (পলান সরকার) (সমাজসেবা), মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন (সমাজসেবা), শহীদ কাদরী (ভাষা ও সাহিত্য) এবং আবদুল হক (ভাষা ও সাহিত্য)।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১১