ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইরাকে নিহত বাংলাদেশি হারুন-অর-রশিদের বাড়ি টঙ্গীতে

আনোয়ারুল করিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১০
ইরাকে নিহত বাংলাদেশি হারুন-অর-রশিদের বাড়ি টঙ্গীতে

ঢাকা: ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় সুলাইমানিয়া শহরের আবাসিক ‘সোমা’ হোটেলে বৃহস্পতিবার রাতের আগুনে নিহত বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম হারুন-অর- রশিদ।

তার বাড়ি বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া অণুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাফর শনিবার সকালে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডির কাছে নিহত সম্পর্কে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ইরাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ কামালউদ্দিন শনিবার সকালে টেলিফোনে নিহতের নাম ও পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। ’

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় সুলাইমানিয়া শহরের ৬ তলা আবাসিক  ‘সোমা’ হোটেলে  বৃহস্পতিবার রাতের ওই আগুনে বাংলাদেশিসহ ২৯ জনের মৃত্যু হয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে শুক্রবার সকাল থেকে এ খবর প্রচারিত হয়।

টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার ত্র“টির কারণে শুক্রবার দিনভর চেষ্টা করেও বাগদাদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর রাষ্ট্রদূতের মোবাইল ফোনে এসএমএস ও ই-মেইলে বার্তা পাঠানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে রাষ্ট্রদূত ঢাকায় টেলিফোন করে বাংলাদেশির নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাফর বলেন, ‘সুলাইমানিয়া শহরে রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের যাওয়ার সুযোগ এখনো হয়নি। কারণ বাগদাদের বাইরে কোথাও যেতে হলে আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। সে অনুযায়ী ইরাক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। ’

মহাপরিচালক বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত সেখানকার বাংলাদেশিদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ওই হোটেলটিতে ৬ জন বাংলাদেশি চাকরি করেন। এদের মধ্যেই হারুন অর রশিদ মারা গেলেন। ’

রাষ্ট্রদূত আশা করছেন, শনিবারের মধ্যেই দূতাবাসের কোনো প্রতিনিধি সুলাইমানিয়াতে পাঠানোরও ব্যবস্থা করা যাবে।  

রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা আরো জানান, লাশের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া হারুন-অর-রশিদ বৈধ না অবৈধভাবে সেখানে গিয়েছেন সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছেনা।  

মোহাম্মদ জাফর বলেন, ‘সুলাইমানিয়া থেকে লাশ বাংলাদেশে আনা সম্ভব কিনা সে বিষয়েরও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এছাড়া সেখানে মরচুয়ারির কোনো ব্যবস্থা আছে কি-না তাও জানা যাচ্ছেনা। নিহতের জন্য তিপূরণ আদায়ের ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখা হবে। ’    

এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক জাফর বলেন, ‘ক্ষতিপূরণ আদায়ের আগে নিশ্চিত হওয়া জরুরি হারুন  বৈধ না অবৈধভাবে সেখানে গিয়েছেন। ক্ষতিপূরণের অংক নির্ভর করবে তা জানার পর। ’

এর আগে শুক্রবার রাত দশটায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাফর বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন, ‘মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও তাকে না পেয়ে ই-মেইল এবং তার মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালের মধ্যেই তিনি ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। ’

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালেই ঢাকায় যোগাযোগ করলেন রাষ্ট্রদূত। তিনি ঢাকায় জানান, ‘ইরাকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারণে অনেকসময়ই মোবাইল নেটওয়ার্ক ‘জ্যাম’ করা হয়। এজন্যই সম্ভবত রাষ্ট্রদূতকে মোবাইলে শতচেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। ’

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ১৭ জুলাই ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।