ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অমর একুশে বইমেলার টুকিটাকি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১

সময়সূচি: ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিনগুলোতে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে। তবে একুশে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।



বাজেট ও সাজসজ্জা: এবারের বইমেলার বাজেট ৩৫ লাখ টাকা। এর সবটুকুই দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক। আর অবকাঠামো নির্মাণ ও সাজসজ্জার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান স্টেপ মিডিয়া।

স্টল ও প্রতিষ্ঠান: নির্মিত ৫৫৬টি স্টল বণ্টন করা হয়েছে ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও এ তালিকায় রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি সামাজিক-সাংস্কৃতিক, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং গণমাধ্যম। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩৪টি তিন ইউনিট, ১১২টি দুই ইউনিট এবং ২৩০টি এক ইউনিটের স্টল বরাদ্দ পেয়েছে।

ক্ষুদ্র প্রকাশনা: ৩০টি লিটল ম্যাগাজিনের জন্য রাখা হয়েছে লিটল ম্যাগ কর্নার। এছাড়া ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে বই প্রকাশকরা জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে বই বিক্রি করার সুযোগ পাবেন।

মূল্যছাড়: মেলায় বাংলা একাডেমির সব বইয়ে ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বইয়ে ২৫ শতাংশ মূল্যছাড় নির্ধারণ করা হয়েছে।

চত্বর: এবার থাকছে নয়টি চত্বর। এগুলো হলো- ভাষা-শহীদ চত্বর, রবীন্দ্র চত্বর, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চত্বর, নজরুল চত্বর, সাহিত্যবিশারদ চত্বর, সুফিয়া কামাল চত্বর, ধীরেন্দ্রনাথ চত্বর, সোমেন চন্দ চত্বর ও রোকেয়া চত্বর।

শিশু কর্নার: এ কর্নারে থাকবে শিশু-কিশোরবিষয়ক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান।

নজরুল মঞ্চ: লেখক-সাহিত্যিকদের আড্ডাকেন্দ্র নজরুল মঞ্চ এবারও বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে ব্যবহৃত হবে।

তথ্যকেন্দ্র: প্রচার কার্যক্রমের জন্য বর্ধমান হাউসের পশ্চিম বেদিতে থাকবে তথ্যকেন্দ্র। আর এর উত্তর পাশে থাকবে মিডিয়া সেন্টার। এখান থেকে সাংবাদিকরা ফ্যাক্স ও ই-মেইল সুবিধা পাবেন।

ওয়াইফাই জোন: ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে মেলা প্রাঙ্গণকে ওয়াইফাই জোনে রূপান্তর করবে বাংলায়ন। এতে করে যে কেউ মেলা প্রাঙ্গনে বসানো কিয়ক্সের মাধ্যমে অথবা ল্যাপটপে ফ্রি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে পারবেন।

বুলেটিন: বিএসপি ও আনন্দ আলো ‘বইমেলা প্রতিদিন’ নামে দু’টি বুলেটিন প্রকাশ করবে।

সেমিনার: প্রথমদিন থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিকাল চারটায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার। রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে এসব সেমিনারে তার জীবন-কর্ম-সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

পুরস্কার: অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ২০১০ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণগত বিচারে সেরা গ্রন্থের জন্য প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার’ এবং মেলার সর্বাধিক মানসম্মত বই প্রকাশের জন্য শ্রেষ্ঠ তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হবে।

জাতীয় সাহিত্য ও লেখক জাদুঘর: বর্ধমান হাউসে স্থাপিত এ জাদুঘরে বাংলাভাষার বরেণ্য সাহিত্যিকদের বিভিন্ন প্রতিকৃতি থাকছে। রাখা হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের জন্য পৃথক স্থান। তবে কারও ব্যবহৃত জিনিসপত্র আনা না গেলেও গোলাম মুরশিদের সৌজন্যে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের হাতের লেখার একটি প্রতিলিপি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে।

এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি নিয়ে আসছে নতুন ৬৫টি গ্রন্থ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।