ঢাকা: পরিবেশ এবং প্রতিবেশ রক্ষায় মানুষকেই বনের অধিকার থেকে সরে আসতে হবে। কমাতে হবে বনের ওপর নির্ভরশীলতা।
সোমবার পরিবেশবাদী সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কনফারেন্স হলে ‘বাঘ রায় মস্কো ঘোষণার প্রেতি: সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র সংরন ও বনজীবিদের কর্মমতায়ন’ আলোচনায় বিশিষ্টব্যক্তিরা এ অভিমত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের ওপর মানুষের নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ায় গত দু’শ বছরে এর আয়তন ১৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার থেকে কমে সাড়ে চার হাজার বর্গ কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে জঙ্গলে মানুষের উপদ্রব বাড়ায় খাবারের সন্ধানে বাঘ প্রবেশ করছে জনবসতিতে। এতে বছরে বাঘের হাতে মারা যাচ্ছে গড়ে ১৬৮ জন হতদরিদ্র মানুষ। আর মানুষের হাতে মারা পড়ছে ৩টি বাঘ।
এ অবস্থার উন্নতির জন্য সুন্দরবনের ১৭ উপজেলার মানুষের বনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন আলোচকরা।
তারা বলেন, সুন্দরবনের জীববৈচিত্র রক্ষা এবং প্রতিবেশ-পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য কয়েকটি সুপারিশ ও তুলে ধরেন।
গ্রীনবেল্টের তথ্য ও গবেষণা পরিচালক মেহেবুব পাপন বলেন, বনের জীব বৈচিত্র ঠিক রাখতে স্থানীয় জ্ঞান ও অংশিদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় আইন তৈরি ও তার বাস্তবায়ন জরুরি।
তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন রক্ষায় বনের নদীগুলো ডেজিং ও বেশি করে পুকুর খনন করা প্রয়োজন। ’
এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন ৫ ও ৭ নম্বর ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন নিষিদ্ধ, বনের ১০ কিলোমিটার এলাকার সকল করাতকল বন্ধ ও চিংড়ি পোনা ধরা নিষিদ্ধ করার কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান
ড. নুরজাহান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আবু নাসের খান প্রমুখ। অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১