ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সিডও সনদের সংরক্ষিত ২টি ধারা বাস্তবায়নের আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১
সিডও সনদের সংরক্ষিত ২টি ধারা বাস্তবায়নের আহ্বান

ঢাকা: সিডও সনদের সংরণকৃত দুইটি ধারা বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ সিডও কমিটি। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ৪৮তম বৈঠকে বাংলাদেশের মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।  

আন্তর্জাতিক ‘কনভেনশন অন দ্য ইলিমিনিশন অব অল ফরমস অব ডিসক্রিমিনিশন অ্যাগেইনস্ট উইমেন’ (সিডও) সদনে বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর স্বার করে বাংলাদেশ।

এর আগে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে ১৯৮১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্য ৬০টির বেশি রাষ্ট্র সিডও দলিলে স্বার করে।

প্রতিমন্ত্রী ড. শিরিন জানান, বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে সিডো সনদে স্বার ও অনুসমর্থন করে। সে সময় সিডো সনদের চারটি ধারা (ধারা ২, ১৩ক, ১৬.১.সি ও ১৬.১এফ) সংরণ (না মেনে) করে অনুসমর্থন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে ২টি ধারা ১৩(ক) ও ১৬.১.এফ থেকে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করা হয়। ’

এই দু’টি ধারার বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের নারীবাদী সংগঠনগুলোও দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিডও কমিটির ৪৮তম বৈঠকে বাংলাদেশ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গৃহীত কার্যক্রম সম্বলিত ৬ষ্ঠ ও ৭ম পিরিয়ডিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ’

বৈঠকে বাংলাদেশের ৮ সদস্যের প্রতিদলের নেতৃত্ব দেন প্রতিমন্ত্রী ড. শিরিন।  

সিডো কমিটির সভায় প্রতিমন্ত্রী ৩০ মিনিট বাংলাদেশে নারীর মতায়নের ক্ষেত্রে গৃহীত কার্যক্রমের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।

সিডও কমটিতে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নারীর অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনগত মতায়নে গৃহীত পদক্ষেপ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। ’

অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও নারী দারিদ্র বিমোচনে হত দরিদ্র নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা বলয় নিশ্চিতকরন, বিধবা ভাতা, দুঃস্থ মহিলা ভাতা, খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভিজিডি কার্যক্রম, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়স্ক প্রতিবন্ধী ভাতা, শহরাঞ্চলে কর্মজীবী স্তন্যদায়ী (ল্যাকটেটিং) মায়েদের ভাতা বিষয়ে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের কথাও প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের নারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, কৃষি, সেলাই, হস্তশিল্প, ব্লক-বাটিক, বিউটিফেকেশন, কম্পিউটার ইত্যাদি বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

নারীর সম্মান রায় বাংলাদেশের গৃহিত পদপে সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী সিডও কমিটিকে জানান, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরা আইন ২০১০ প্রণয়ন, নারীর প্রতি বৈষম্য দূরকরণে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের মাধ্যমে মায়ের মাধ্যমে সন্তানদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নারী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি সবেতনে ৪ মাস থেকে ৬ মাসে উন্নীত করা হয়েছে।

সিডও কমিটির সদস্যবৃন্দ বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য দূর করতে নেওয়া কার্যক্রমের প্রশংসা করেন বলেও প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad