ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজধানীর প্রস্তাবিত মেট্রো রেল রুটে পরিবর্তন আনা হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১

ঢাকা: প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীতে প্রস্তাবিত মেট্রো রেলের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপরে আপত্তির কারণে চলাচলের এ রাস্তা কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন।

মেট্রো রেলটি চলবে রাজধানীর উত্তরা থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত।

সচিবালয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সভাকে সোমবার জাপান আর্ন্তজাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের একথা বলেন। বাংলাদেশ সফরকারী জাইকার এ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন টোকিও সদর দপ্তরের পরিচালক তোমোহিদে ইচিগুচি (ঞড়সড়যরফব ওপযরমঁপযর)।

মন্ত্রীর সঙ্গে জাইকা প্রতিনিধি দলের বৈঠকে সড়ক ও রেলপথ বিভাগের সচিব মোজাম্মেল হক খান, সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া ও ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ডের (ডিটিসিবি) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জানানো হয়, মেট্রো রেলের আগের প্রস্তাবিত রুটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শহীদমিনার ও মেয়েদের একটি হল থাকায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে থেকে এ রাস্তা পরিবর্তন করা হয়েছে।

নতুন রুট অনুযায়ী এ রেলপথটি তিন নেতার মাজার হয়ে তোপখানা রোড ঘুরে  মতিঝিল পৌঁছাবে।

এছাড়াও মেট্রো রেলের রাস্তার কয়েকটি পয়েন্টে গুলিস্তান -যাত্রাবাড়ি ফাইওভার পড়ে যাওয়ায় মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে গোলাপবাগ পর্যন্ত ১ দশমিক ৮ কিলোমিটার রেলপথ মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হবে। প্রস্তাবিত মেট্রো রেল পথটি হবে ২১ দশমিক ৫০ কিলোমিটার লম্বা।

যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন জানান, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই প্রস্তাবিত নতুন রাস্তাটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। আগামী মার্চের মধ্যেই সংশোধিত রাস্তার নতুন অংশের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করা হবে। এরপরই শুরু হবে প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ।

তিনি বলেন, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করছে। তারা প্রকল্পটির কাজও দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য তাগিদ দিচ্ছে। তাই আশা করছি, তারা এ প্রকল্পে অর্থায়নও করবে।

জাপানী অর্থ সহযোগিতা কি পদ্ধতিতে হবে, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা সহজ শর্তে ঋণ (সফট লোন) অথবা মঞ্জুরি সহায়তা (গ্রান্ট) থেকে হতে পারে। তারা এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়েই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেষ করতে চাই। এজন্য আগামী বছরের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৪৩১ ঘন্টা, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad