ঢাকা: একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে বিরোধিদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের মতো ভিভিআইপি নিরাপত্তায় শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহীদ মিনারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রভাত ফেরির ব্যবস্থা ভোর থেকে ফের চালু করা যায় কিনা সেটিও ভেবে দেখা হচ্ছে। স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের মতো ভোর বেলা শহীদ মিনারেও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা এই প্রস্তাবের অন্তুর্ভূক্ত করা হয়েছে।
একুশে ফ্রুব্রয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচিত হয় বলে বৈঠক সুত্র জানায়।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি স্বরাষ্টমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে অংশ নেওয়া সরকারের দায়িত্বশীলরা বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তারা জানান, একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে ভিভিআইপি নিরাপত্তার মধ্যে আনা হচ্ছে। বিরোধী দলীয় নেত্রী তার দলের সর্বোচ্চ ৪০ জন নেতা-কর্মীকে নিয়ে এ সময়ে শহীদ মিনারে যেতে পারবেন।
তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকারের পরপরই শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাবেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, এ প্রস্তাবটি এখনো চুড়ান্ত হয়নি। বিরোধী দলীয় নেত্রীর কাছে এ প্রস্তাব দেওয়া হবে।
এদিকে, শহীদ মিনারে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের সুবিধার্থে শহীদ মিনারের মূল বেদীর পাশাপাশি একাধিক স্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সবাই শুধু শহীদ মিনারের একেবারে সামনে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যায় বলে সেখানে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এজন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গনেই একাধিক স্থানে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে বলেই জানায় সূত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১