কুমিল্লা: বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দুর্বৃত্তের ছোড়া এসিডে দগ্ধ নিলুফা টানা সাতদিন যন্ত্রণাভোগের পর সোমবার ভোরে মারা গেছে।
কুমিল্লার সদর দণি উপজেলার মাতাইনকোট এলাকায় গত ২৩ জানুয়ারি রোববার রাত ৮টার দিকে নিলুফাকে এসিড মেরে ঝলসে দেয় দুর্বৃত্তরা।
সোমবার ভোর ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু তার হয়।
নিহতের পরিবার জানায়, বেশ কিছুদিন আগে মাতাইনকোট এলাকার বখাটে যুবক জাবেদ তাকে বিয়ে করার জন্য তার পরিবারের কাছে প্রস্তাব পাঠায়। এতে রাজি না হওয়ায় জাবেদ ও তার সহযোগী জাহাঙ্গীর, আদর, মিলন, মজুমদার, খলিল গত ৬ মাস ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এর ফলে তার স্কুল যাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবার সূত্র জানায়, ওই দুর্বৃত্তরাই ২৩ জানুয়ারি রাতে জ্যোৎস্নাকে দিয়ে তাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে এসিড মেরে তার শরীর ঝলসে দেয়।
ঘটনার পর নিলুফাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসিডে তার শরীরের ৮০ ভাগ ঝলসে যাওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বাঁচাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। চিকৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে সে মারা যায়।
নিলুফা মাদাইনকোট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
রোকেয়া বেগম জানান, গত এক বছর আগে দুর্বৃত্তদের নাম দিয়ে সদর দণি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে মাতব্বর মজুমদারকেও জানানো হয়। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এদিকে, নিলুফাকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি সদর দণি থানায় এসিড অপরাধ আইনের ২০০২/৫/ক ধারায় আবু তালেব জাবেদ ও জ্যোৎস্না আক্তারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিলুফার বাবা সেলিম মিয়া।
পুলিশ ২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার ওই মামলার আসামি জ্যোৎস্নাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। মামলার অপর আসামি এখনও পলাতক রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১১