ঢাকা: জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ এনে সেখানকার ৫টি কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে হবিগঞ্জ-১ আসনের নির্বাচনেও কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিঙে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ব্রাহ্মণণবাড়িয়ায় অনিয়ম হওয়া ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুনর্নির্বাচনের দাবি জনান।
উপনির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি গণমাধ্যমকে জানাতেই প্রেস ব্রিফিঙের আয়োজন করে বিএনপি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণণবাড়িয়ার পাঁচটি কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খ্রিস্টান মিশনারি স্কুল, চিনাইর আঞ্জুমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চাপাই সিনিয়র মাদরাসা, গতাইসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাসুদেব উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে প্রশাসনের সহয়োগিতায় আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়। আমরা এ পাঁচটি কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। ’
বিএনপির আশঙ্কাই সত্য হয়েছে দাবি করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে যথেচ্ছভাবে জালভোট দেওয়াসহ বিভিন্ন অনাচার করতে পারে নিশ্চিত জেনেই আমরা সেনা মোতায়নের দাবি জানিয়েছিলাম। ’
সেনা মোতায়নের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধ ও বিএনপির দাবি সঠিক ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সরকার ভোট কারচুপির ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্যই সেনা মোতায়নে রাজি হয়নি। ’
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কাইউম, আব্দুল হালিম, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক শফি বিক্রমপুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান সোহেল সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১