লন্ডন: বিশ্বশান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের পে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘গ্লোবাল ডাইভারসিটি’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছেন ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো।
বুধবার লন্ডন সময় সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট ও বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১২.৩০ মিনিটে হাউস অব কমন্সের স্পিকার অ্যাপার্টমেন্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার সম্মানে আয়োজিত পার্লামেন্টারি রিসিপশন অনুষ্ঠানে ‘নেক্সট স্টেফ ফাউন্ডেশন’র দেওয়া এই অ্যাওয়ার্ড প্রদানের সময় সাবেক মন্ত্রী ফ্র্যাঙ্ক ডবসন, লেবার দলীয় এমপি আন মেইন, এমিলি থর্নবেরি, ও রোশনারা আলীসহ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সরকার ও বিরোধী দলীয় এমপি, রাজনীতিক এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় হাউস অব কমন্সের স্পিকার বলেন, পার্লামেন্টারি রাজনীতির সুতিকাগার হিসেবে পরিচিত ব্রিটেন ও বাংলাদেশের পারষ্পরিক সম্পর্কও গভীর।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই গভীরতা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার জন বারকো।
তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপিদের প থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিটেন-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ‘গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে সম্মানিত করায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ও স্পিকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই সম্মান আমার দেশ বাংলাদেশের, আমার জনগণের।
তিনি বলেন, এই অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশের জনগনের দিন বদলের সংগ্রামের প্রতি ব্রিটেনের স্বীকৃতি বলেই আমি মনে করি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের জন্যে বাংলাদেশের জনগণের যে দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে, আজ একটি গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে ‘গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের স্পিকার সেই সংগ্রামকেই সম্মান জানালেন।
শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধোরের পর, দারিদ্র, নিরতা, জলবায়ু পরিবর্তন বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে আবার নতুন করে সংগ্রামে নেমেছে, আজকের এই সম্মান প্রাপ্তি তাদের সেই সংগ্রামে আরো উৎসাহ যোগাবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিও বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন লেবার দলীয় এমপি কিথ ভাজ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১১